× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চিরনিদ্রায় গিটার জাদুকর

এক্সক্লুসিভ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

কোনো কিছু হলে মায়ের কবরের পাশেই শুয়ে দিও- এমন কথা প্রায়ই বলতেন কিংবদন্তি রকস্টার আইয়ুব বাচ্চু। আর তার কথাই রাখলো স্বজনরা। গতকাল বাদ আছর স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা শেষে চট্টগ্রামের বাইশ মহল্লার চৈতন্যগলির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় গিটার জাদুকরকে। আইয়ুব বাচ্চুর মামা আবদুল আলীম লোহানী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তার অনেক ইচ্ছা অপূর্ণ রয়ে গেলেও মায়ের কবরের পাশে শুয়ে দেয়ার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। এতে তার আত্মা শান্তি পাবে। তবে, তার আত্মার শান্তির জন্য অপূর্ণ ইচ্ছাগুলো পূরণ করার চেষ্টা চালানো হবে বলে জানান তিনি।

মামা আবদুল আলীম লোহানী বলেন, গতকাল বিকালে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে নেয়া হয়। সেখানে তার শেষ জানাজা হয়। জানাজায় অসংখ্য মানুষের ঢল নামে।
এটি স্মরণকালের বৃহত্তম জানাজা বলে জানান তিনি। চট্টগ্রাম সিটি  করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসান, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, সহসভাপতি আবু সুফিয়ান ও অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানাজায় অংশ নেন। আবদুল আলীম লোহানী জানান, জানাজায় কমপক্ষে অর্ধলাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। জানাজা শেষে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহ পৈতৃকভূমি বাইশ মহল্লার চৈতন্যগলির পারিবারিক কবরস্থানে নেয়া হয়। বিকাল ৫টা ২০ মিনিটের দিকে তার দাফন কাজ শুরু হয়। সেখানে ছেলেসহ স্বজনরা দাফন কাজ করেন। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে না ফেরার দেশে চলে যান আইয়ুব বাচ্চু।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তার মরদেহ রাখা হয় সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। শুক্রবার বাদ জুমা জাতীয় ঈদগাহে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দ্বিতীয় জানাজা হয় তার গানের স্টুডিও মগবাজারে এবি কিচেন-এর সামনে। এরপর তৃতীয় জানাজা হয় চ্যানেল আই কার্যালয়ের সামনে। গতকাল সকালে ইউএস বাংলার একটি বিমানে তার মরদেহ জন্মস্থান চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। বিমানবন্দরের প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ নিয়ে চট্টগ্রামের পূর্ব মাদারাবাড়ি নানার বাড়িতে যান স্বজনরা। সেখানেই শৈশব কেটেছে শিল্পী আইয়ুব বাচ্চুর। স্বজনদের মধ্যে আইয়ুব বাচ্চুর অস্ট্রেলিয়া ও কানাডা প্রবাসী দুই সন্তানসহ ২৫ জনের একটি দল একই বিমানে চট্টগ্রামে যান। স্বজন ছাড়াও চট্টগ্রামের দুই শতাধিক ভিআইপি মরদেহ নিতে বিমানবন্দরে আসেন। বিমানবন্দরের বাইরেরও শত শত গাড়ি অপেক্ষায় ছিল। মরদেহ নিয়ে যাওয়ার পথে গাড়ির মিছিলে পরিণত হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নানার বাড়ি পৌঁছে আইয়ুব বাচ্চুর মরদেহবাহী গাড়ি।

এর আগে থেকেই প্রিয় আইয়ুব বাচ্চুকে দেখতে অসংখ্য ভক্ত নানার বাড়িতে ভিড় জমান বলে জানান প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর মামা আবদুল আলীম। আমাদের কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি নানার বাড়ি থেকে জানান, আইয়ুব বাচ্চুকে এক নজর দেখতে এবং মরদেহে শ্রদ্ধা জানাতে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছিল। একপথে লাইন ধরে অসংখ্য মানুষ কফিনের দিকে এগুচ্ছে, অন্যপথে বেরিয়ে যাচ্ছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অর্ধশতাধিক পুলিশ হিমশিম খায়। চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন সরজমিন উপস্থিত থেকে ভক্তদের ভিড় সামলান। বিকাল ৩টার দিকে তার মরদেহ চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ ময়দানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে বাদ আছর তাকে সমাহিত করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর