× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ক্ষমতায় গেলে ৭ দিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল - মওদুদ

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ অক্টোবর ২০১৮, শনিবার

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সাত দিনের মধ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় প্রত্যাহারের দাবিতে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে একের পর এক কালাকানুন তৈরি করছে। সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন তৈরি করেছে। এই আইনের মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। এখন সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। আদালতের কোনো অনুমতি ছাড়া পুলিশ কোনো সংবাদপত্রের অফিসে গিয়ে তল্লাশি চালাতে পারবে। কম্পিউটার জব্দ করতে পারবে।
কোনো মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু লিখলে এই আইনের মাধ্যমে তাকে হয়রানি করতে পারবে। এসময় তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় আসলে ৭ দিনের মধ্যে এই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করব। তিনি বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনের জন্য এত বড় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন দেখে আজকে সরকারের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে। তারা ভাবছে এত বড় ঐক্যফ্রন্ট কি করে হলো? সে জন্য সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী বিভিন্ন অশালীন ভাষায় মন্তব্য করা শুরু করেছেন।
এটাই প্রমাণ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে আমরা ঠিক কাজই করেছি। দেশের সকল মানুষ এই ঐক্য চায়, সেটাই আজ প্রমাণিত হয়েছে। আজকে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। এটা গোটা জাতির সকল শ্রেণির সকল দলের মানুষের মনের কথা প্রকাশ করেছে। এই কারণে দেশের গ্রামগঞ্জে পর্যন্ত এই ঐক্যের ডাক পৌঁছে গেছে। দেশের মানুষ আজ এই ঐক্যের মাধ্যমে সরকারের পরিবর্তন আনতে বদ্ধপরিকর। তাই এই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মাধ্যমেই সরকারের পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমান সরকারকে নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসতে বাধ্য করা হবে। সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে। মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার যতই সমালোচনা করুক আমরা ঠিক কাজ করেছি তা আমাদের বুঝতে হবে। এই ঐক্যের মাধ্যমে আমাদের আন্দোলন আরো জোরদার হবে। এর মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করবো ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু। ২০১৪ সালের মতো একতরফা নির্বাচন আর এদেশে করতে দেয়া হবে না। তিনি আরো বলেন, সিলেটে ২৩শে অক্টোবর জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পূর্বঘোষিত জনসভায় প্রথমে অনুমতি দিয়ে পরে আবার সেটি প্রত্যাহার করেছে। কারণ এটা একটি স্বৈরাচারী সরকার। ফ্যাসিবাদী সরকার। এরা জনগণকে ভয় পায়। এরা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। আমাদের সমাবেশের অনুমতি দেয় না অথচ শনিবার জাতীয় পার্টি ঢাকঢোল পিটিয়ে সমাবেশ করছে। তাদেরকে কোনো বাধা দেয়া হয়নি। আমরা সমাবেশ করলে এই জাতীয় পার্টির চেয়ে ২০ গুণ বেশি লোকের জনসমাগম ঘটতো। কিন্তু সরকার জাতীয় পার্টিকে, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ সবাইকে অনুমতি দেয়। কিন্তু আমাদের অনুমতি দেয় না। আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি নূরজাহান ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সহ-সভাপতি জেবা খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর