জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী ছিলেন সাংবাদিক জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার কর্মের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন। তার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। আন্তর্জাতিক দিকটা বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে তার লেখা ছিল অত্যন্ত চমৎকার। তিনি ছিলেন বিনয়ী, তার মধ্যে কোনো অহংকার ছিল না। সকলের আপন ছিলেন তিনি।
গতকাল রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশিষ্ট সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরীর ‘নির্বাচিত কলাম’- গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী স্মৃতি ট্রাস্ট এই প্রকাশনা উৎসবের আয়োজন করে।
৪৫০ পৃষ্ঠার এই বইটি প্রকাশ করেছে আবিষ্কার প্রকাশনী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরীর আন্তর্জাতিক বিষয়ে বিশেষ করে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বিষয়ে অসাধারণ লেখা লিখে নজির স্থাপন করেছেন। তার মৃত্যুতে আমাদের অপূরণীয় ক্ষতি ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তার জ্ঞানের গভীরতা ছিল অসাধারণ। শুধু লেখার দক্ষতা নয়, তার মধ্যে মানবিক গুণাবলীও ছিল। ড. শিরীন শারমিন আরো বলেন, জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী নিজের সকীয়তা বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা ছিল অসাধারণ। জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী কখনও হারিয়ে যাবেন না। তিনি তার কর্মের মধ্যে আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন।
তিনি বলেন, যারা সাংবাদিকতায় আছেন এবং আমাদেরকে নির্বাচিত কলাম গ্রন্থটি সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী ও সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী স্মৃতি ট্রাস্টের সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম সভাপতির বক্তব্যে বলেন, জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী আমার খুব কাছের বন্ধু ছিলেন। তিনি প্রগতিশীল চিন্তা-চেতনা ধারণ করতেন। সাবেক পররাষ্ট্র সচিব সিএম শফি সামী বলেন, জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী একজন ভালো মানুষ ছিলেন। সৎ ও নিষ্ঠার সঙ্গে সাংবাদিকতা করেছেন। দেশপ্রেমিক ছিলেন। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাসস-এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনোজ রায়, সাংবাদিক স্বপন কুমার সাহা, সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরীর বোন সেলিমা চৌধুরী, সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরীর বন্ধু শওকত আলী দিলন প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ভোরের কাগজ সম্পাদক এবং স্মৃতি ট্রাস্টের সদস্য সচিব শ্যামল দত্ত।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২৯শে নভেম্বর সাংবাদিক জগ্লুল আহমেদ চৌধূরী এক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।