× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ভয় পাবার কোনো কারণ নেই: কাদের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টা
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

বিরোধী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ভয় পাবার বা বিচলিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে আওয়ামী লীগ ভয় পাচ্ছে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের এমন বক্তব্যের জবাবে কাদের বলেন, তারা (ঐক্যফ্রন্ট) প্রথমে জনগণের কাছে না গিয়ে বিদেশিদের কাছে গেছে। তারা নির্বাচনে জয়ী হলে কে প্রধানমন্ত্রী হবেন তা তারা নিজেরাও জানেন না। কোনোটাই তাদের কাছে পরিষ্কার নয়। আর তাই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ভবিষ্যৎও পরিষ্কার নয়। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি’র ভাঙার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল ভাঙার নীতিতে বিশ্বাস করে না। লাইক মাইন্ডেড দল নিয়েই আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচন মোকাবিলা করতে পারবো। নির্বাচনকে সামনে রেখে  দেশের বড় কোনো দলের ভাঙার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো দল ভাঙার বিষয়ে আমাদের কোনো হাত থাকবে না।
আর তা আমাদের প্রয়োজনও নেই। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আমাদের ভয় পাওয়া বা বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ গত দশ বছরে যারা আন্দোলন করতে পারেনি, তারা একমাসেও তা পারবে না। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট থেকে দু’টি দল বেরিয়ে গেছে। আর যখন তাদের আসন ভাগাভাগি শুরু হবে তখন আরো অনেকেই বেরিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নামে সামপ্রদায়িক অপশক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। তাদের লক্ষ্য যেকোনো মূল্যে আওয়ামী লীগকে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে হটানো। তাই নির্বাচন নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হবে ও নাশকতার পরিকল্পনা হবে।
গতকাল ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভা  শেষে  এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপের দাবির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। সে অনুযায়ী নির্বাচনের আর মাত্র দুই সপ্তাহ সময় রয়েছে। নির্বাচনের আগে সংলাপ অনুষ্ঠানের জন্য যেমন সময়ও নেই, তেমনি সংলাপ অনুষ্ঠানের বাস্তব কোনো কারণও নেই। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সামপ্রদায়িক অশুভ শক্তির অ্যালায়েন্স। তাই আওয়ামী লীগ নীতিগতভাবে তাদের সঙ্গে কোনো সংলাপে যেতে রাজি নয়।
কাদের বলেন, আমরা আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছি। আমাদের শক্তির উৎস দেশের জনগণ।  দেশের মাটি ও মানুষের মধ্যে আমাদের শিকড় প্রোথিত। তাই কাউকে দেখে আমাদের বিচলিত ও ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সিলেট হযরত শাহজালাল (রহ.)’র মাজার জিয়ারতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হযরত শাহজালাল (রহ.)’র মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করা আমাদের দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা যেতেই পারেন। এ বিষয়ে কারো আপত্তি করার কথা নয়। তবে মাজার জিয়ারত শেষে সমাবেশের নামে তারা কোনো ধরনের সহিংসতা ও নাশকতার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ মহাসমাবেশে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার এ বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি বর্তমান সংসদের বিরোধী দল। বিরোধী দল হিসেবে তারা তাদের বক্তব্য রাখবেন  সেটাই স্বাভাবিক। আর তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিজেদের বিলিয়েও দেন নি। তাই তাদের নিজস্ব বক্তব্য থাকবেই।
তিনি বলেন, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটে থেকেও নির্বাচন করতে পারেন, আবার এককভাবে নির্বাচন করতে পারেন। তা আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে যাবে। সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস  সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল  হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া,  কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য এস এম কামাল হোসেন ও মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর