× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে ওয়ানডে সিরিজ /ল্যান্ডমার্ক ম্যাচে মাশরাফিদের অন্য ‘লড়াই’

শেষের পাতা

ইশতিয়াক পারভেজ
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

সেই ১৯৮৬তে শুরু, আজ বাংলাদেশ দল ৩৫০তম ওয়ানডে ম্যাচ খেলতে মাঠে নামবে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে টাইগার গর্জন এখন পরিপূর্ণ। দল এখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নও দেখে। আইসিসি’র ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়েও অবস্থান করে নিয়েছে ৭ নম্বরে। লম্বা এ সময়ে বাংলাদেশ দলের অন্যতম প্রতিপক্ষের নাম জিম্বাবুয়ে। যাদের বিপক্ষে টাইগাররা খেলেছে সর্বাধিক ৬৯ ম্যাচ। একটা সময় পর্যন্ত তারাই ছিল কঠিন প্রতিপক্ষ। হতো সমানে সমানে লড়াই।
কিন্তু ২০১০’র পর থেকে যেন পাত্তাই পাচ্ছে না আফ্রিকার দলটি। সেই বছরই তারা বাংলাদেশে এসে শেষ ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিল। এক সময় আইসিসির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের উপরে থাকা দলটিকে এখন হেসে খেলে হারায় টাইগাররা। বদলে গেছে লড়াইয়ের লক্ষ্যও। এখন জিততেই হবে নয়ত মান থাকে না যে! হারলে আবার ভয় আছে রেটিং পয়েন্ট হারাবারও। তাই আজ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুতর্জার দলের লড়াইটা অন্যরকম। অধিনায়কও মনে করেন তাই। কারণ এখন হারলেই শুরু হবে সমালোচনা। ‘আমরা জিতব এবং জেতার আশাই করছে সবাই। সেটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ওরা সেরা দল নিয়ে এসেছে। সুতরাং আমাদের ১০০ ভাগ দিয়েই খেলতে হবে। হয়তো জিতলে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। হারলে কিন্তু ভিন্ন কথা হবে, এটাই স্বাভাবিক।’

এখন পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৪১ ওয়ানডে ম্যাচে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর হার ২৮টি। তবে, এ দেশে এসে ২০১০’র পর থেকে টানা ১৩ ওয়ানডে ম্যাচে হেরেছে তারা। শুধু তাই নয়, ২০০১-এ বাংলাদেশের মাটিতে তাদের প্রথম ও শেষ ওয়ানডে সিরিজে জয়। তারপর থেকে সফরে এসে আরো ৭টি সিরিজ খেললেও একটিতেও জয়ের মুখ দেখেনি। অন্যদিকে, ঠিক দুই বছর পর ঘরের মাঠে দ্বি-পাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ দল। দেশের মাটিতে মাশরাফির দল শেষ ওয়ানডে খেলেছিল ২০১৬তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এরপর সব ওয়ানডে সিরিজই খেলেছে বিদেশের মাটিতে। তবে, এ বছরের শুরুতে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে জিম্বাবুয়েকে নিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজ আয়োজন করেছিল বিসিবি। সেখানে টাইগারদের সামনে পাত্তাই পায়নি জিম্বাবুয়ে।

অন্যদিকে, আজ সিরিজ শুরুর আগে টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের অন্য আলোচনা- কেমন হবে সাকিব-তামিম ছাড়া বাংলাদেশ একাদশ। কে আসবেন দলে? সাকিবের পরিবর্তে কি খেলবেন দলের নতুন মুখ ৩০ বছর বয়সী ফজলে রাব্বি মাহমুদ?  তামিম নেই তাই কে হবেন লিটন দাসের ওপেনিং পার্টনার! সেই সঙ্গে টাইগারদের ওপর থেকে এখনো কাটেনি ইনজুরির কালো ছাঁয়া। তাই একাদশে যে নতুন মুখের আগমন ঘটবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রস্তুতি ম্যাচে রাব্বি আউট হয়েছেন খুব দ্রুত। তাই বলে অধিনায়ক তার ওপর আস্থা হারাননি। আজ তার সুযোগ মিলছে সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। লিটনের সঙ্গে হয়তো ওপেনিংয়ে দেখা যাবে ইমরুল কায়েস বা রাব্বিকেই। এরপর মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ ও এশিয়া কাপে দারুণ ব্যাট করা  মোহাম্মদ মিঠুন আছেনই দলের হাল ধরার জন্য। নিশ্চিতভাবে থাকছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে, রুবেল হোসেনের আজ খেলা অনিশ্চিত। তার পরিবর্তে হয়তো মাঠে দেখা যাবে সাইফ উদ্দিনকে। পেস আক্রমণে অধিনায়ক মাশরাফি ছাড়াও থাকবেন মোস্তাফিজুর রহমান।

ম্যাচের আগে আলোচনায় ছিল উইকেটও। বিশেষ করে মিরপুর শেরেবাংলা মাঠের রহস্যময় উইকেট নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমরাও বিশ্বাস করি মিরপুরের উইকেট আনপ্রেডিকটেবল। কী জন্য? হঠাৎ করেই আচরণ বদলে ফেলে। আপনারাও দেখেছেন হঠাৎ করে টার্ন বা বল নিচু হয়ে আসছে। তখন কিন্তু যারা ব্যাটিং করছে তাদেরও মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হচ্ছে। বাইরে যারা থাকে তাদেরও মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হয়। আনপ্রেডিকটেবল হলেও আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। বেশিরভাগ সিনিয়র প্লেয়ারই ১০/১২ বছর যাবৎ এই উইকেটে খেলছে। আমরা যখন ২০১৫ থেকে জেতা শুরু করেছি তখন থেকে এই মাঠে আমাদের রেকর্ড ভালো। আমি নিশ্চিত আমাদের ছেলেরা এতদিন খেলার পরে এমন কোনো অজুহাত না দেয়াই উচিত। তবে, একটা মাইন্ড  সেটআপ থাকা যেটা আগেও বললাম ২৫০-২৬০ করলে ওদের জন্য কঠিন হবে।’  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর