× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সন্ধ্যা নদীর ভাঙনরোধে পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান ক্ষতিগ্রস্তরা

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার সন্ধ্যা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চেয়েছেন ঢাকাস্থ পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও ভাঙনের শিকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। তারা বলেছেন, নদীভাঙনে কাউখালীর সোনাকুর গ্রাম প্রায় বিলীনের পথে। ইতিমধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ গ্রামে ২৫০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প রয়েছে। মাটির কাজ করা কুমার ও পাল বংশের লোকজন ভিটেমাটি হারিয়ে আজ নিঃস্ব অবস্থায় অসহায় দিনযাপন করছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গতকাল ঢাকাস্থ কাউখালী যুবকল্যাণ সমিতি, সয়না রঘুনাথপুর দ্বীপ কল্যাণ সমিতি, ঢাকাস্থ কাউখালী শিক্ষার্থী কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে উপজেলার ক্ষতিগ্রস্তরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ১৫ দিনে সোনাকুর গ্রামের প্রায় ২০ একর জমি, ৫০টির অধিক বাড়ি ও ২০টি দোকান এবং ব্রিজ-কালভার্ট নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে ১নং সয়না-রঘুনাথপুর ইউনিয়নের হোগলা, বেতকা, রোঙ্গাকঠি, শীর্ষা ও মেঘপাল গ্রামে।
আবার ২নং আমরাজুরি ইউনিয়নের সরকারি খাদ্যগুদাম, আশোয়া, গন্ধব্য, কুমিয়ান, ফেরিঘাট এলাকা ধীরে ধীরে নদীতে চলে যাচ্ছে। একই সঙ্গে কাউখালী নদীবন্দর লঞ্চঘাট এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। যা এখনই রোধ না করলে মানচিত্র থেকে এই উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ও গ্রাম বিলীন হয়ে যাবে। তারা বলেন, ১নং সয়না-রঘুনাথপুর ও ২নং আমরাজুরি ইউনিয়নের দু’পারে নদী ‘সন্ধ্যা ও কালিগঙ্গা’। সন্ধ্যা ও কালিগঙ্গা নদীর অব্যাহত ভাঙনে এসব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। এমন অবস্থায় মূল দায়িত্ব যে মন্ত্রণালয়ের, সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর নির্বাচনী আসনে (পিরোজপুর-২) নদী ভাঙন রোধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। এহেন পরিস্থিতিতে নদী তীরবর্তী এলাকার খেটে খাওয়া মানুষের জীবন ও সম্পদ রায় নদী ভাঙনরোধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা বলেন, নদীতে ভিটেমাটি চলে যাওয়ায় কয়েকশ’ পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনাহারে নদী ভাঙন এলাকার মানুষ জীবন যাপন করলেও সরকারের কোনো মহল থেকে এখন পর্যন্ত সহযোগিতা মিলেনি। এদের সাহায্যে সরকারের দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসার অনুরোধ কাউখালীবাসীর। কাউখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান কাজী হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে এইচএম দ্বীন মোহাম্মদ, সালাহ উদ্দিন হিরু, অ্যাডভোকেট দেলোয়ার হোসেন শরীফ, আবুল কালাম আজাদ, সাইফুর রহমান আলম, আহসান হাবীব মিলন, জাকির হোসেন রোকন ও নাঈম হোসেন মিয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর