× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকায় কামড় দিলে নারায়ণগঞ্জ থেকে দাঁত ভাইঙ্গা দেবো: শামীম ওসমান

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
২১ অক্টোবর ২০১৮, রবিবার

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগ নেতা একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, ২৭ তারিখের পরে নভেম্বর মাসের শুরু থেকে আপনারা প্রোগ্রাম এরেঞ্জ করেন। আমি প্রত্যেকটা এলাকার প্রোগ্রামে যাবো। আমরা প্রত্যেকটা ঘরে ঢোকার চেষ্টা করবো। প্রত্যেকটা এলাকায় আমাদের বক্তব্য, শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছায়ে দেয়ার চেষ্টা করবো। আমরা নির্বাচনী কাজ একটু আগে শেষ করতে চাই। কারণ, কেউ ঢাকায় কামড় দিলে আমরা তার দাঁতটা ভাইঙ্গা দিয়া আসতে পারি, আমাদের কাজটা থাকবে এটাই। শনিবার সন্ধ্যায় ফতুল্লার নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল (নম) পার্কে আওয়ামী লীগের এক কর্মীসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৭শে অক্টোবর শামীম ওসমানের জনসভা সফল করার লক্ষ্যে ওই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
শামীম ওসমান বলেন, আমি জিজ্ঞেস করি আপনাদের কাছে, যারা আমার নেত্রীরে মারার চেষ্টা করছে তাদের সাথে আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করমু, নাকি করমু না? উপস্থিত সকলে উত্তরে না বললে তিনি বলেন, তাহলে আর কোন কথা নাই। আপা (শেখ হাসিনা) কইলেও শুনতাম না। অন্যরা মৃত্যুর ভয় না পাইতে পারে কিন্তু দেশের জন্য, আমার জন্য ওনারে দরকার। উনি আমার বাচ্চার ভবিষ্যৎ। উনি বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ। আমি শামীম না থাকলে কিচ্ছু হইতো না। কিন্তু উনি না থাকলে দেশটাকে ওরা বেইচা খাবে। ওনাকে যারা মারতে চাইছে তার সাথে আপোস করবো না, কাউরে করতেও দেবো না। যারা নেত্রীরে মারার চেষ্টা করছে তাদের জন্য আজকের থেকে ফতুল্লার মাটি হারাম হইয়া যাবে। কথাটা মাথায় রাইখেন। শামীম ওসমান বলেন, যারা এখন স্বপ্ন দেখছেন কি হবে আগামীবার বুঝতে পারবেন। স্বপ্ন স্বপ্নই থাইকা যাইবো। ওই ড. কামাল কবে কই যাইবো ঠিক থাকবো না। এটা শেষবার, শেষবার আমাকে সহযোগিতা করেন। শেখ হাসিনার ঋণ শোধ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ‘আমি ভালো মানুষ না। আমি পাপী মানুষ। ওই আল্লাহকে নিয়মিত সেজদা করি। তার উপরে ভরসা করে বলতেছি, টেনশন নিয়েন না। ক্ষমতায় আসবো আমরাই। কসম কইরা বলতেছি, মা কইয়া বউ বলার সুযোগ পাবে না। কবর হইয়া গেছে বাকি আছে মাটি কিছু দেয়ার। নভেম্বরের মধ্যে মাটি দেয়া কম্প্লিট করে দেবো। ছেলে গেছে বিদেশে মা যাবে স্বদেশে। ডোন্ট ওয়ারি, চিন্তা কইরেন না। নাম থাকবে না ওদের যারা আমার নেত্রীকে মারতে চেষ্টা করছে। যতোই ডক্টর হোক কিংবা আমেরিকা ফেরত কোন লাভ হবে না। পরিষ্কার করে কথা বলতে পারতেছি না। যদি ঠিক মতো কইতে পারতাম তাহলে আপনারা বলতেন কালকে জনসভা ডাক দিতে।’
শামীম ওসমান বলেন, খন্দকার মোশতাকের মতো বিশ্বাসঘাতকদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।, আমি কালকে মিটিংয়ে বলছি, পুলিশ-বিজিবি-সেনাবাহিনী দিয়া আমি রাজনীতি করি না। আমার কাছে জনগণই শেষ কথা। জনগণের শক্তির সামনে কোন শক্তি নাই। আমি ৩০ তারিখের (অক্টোবর) পর থেকে কাউরে চিনি না। ৩০ তারিখের পর থেকে চোখের পর্দা থাকবে না। ডাইরেক্ট দুশমন যারা বিএনপি-জামাত ওদের মাফ আছে, কিন্তু ডুয়েল গেম খেলবেন তাদের মাফ নাই। পেছন দিয়া ছুড়ি মারবেন? না, মোশতাক থাকতে দিমু না। আমি জানি আমার এলাকায় এগুলা নাই। যদি থাইকা থাকেন নিজেদের সংশোধন করেন। কারণ এটা হইলো শেষ লড়াই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ্‌ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম সাইফুল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক এম শওকত আলী, শহর যুবলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সাজনু ভূইয়া, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও যুবলীগ নেতা এহসানুল হক নিপু, নাসিক ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিউদ্দিন প্রধান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল করিম বাবু প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর