তুরস্কের কর্মকর্তারা ধারণা করছেন সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার পর তার মরদেহ বনে ফেলে দেয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, খাসোগির লাশ খুব সম্ভবত সৌদি কনস্যুলেট সংলগ্ন বেলগ্রাদ বনে নইলে ইয়ালোভা শহরের নিকটস্থ কোনো গ্রামে ফেলে দেয়া হয়েছে। ইয়ালোভা শহরটি ইস্তাম্বুল থেকে ৯০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ২রা অক্টোবর খাসোগি হত্যার দিন সৌদি কনস্যুলেট থেকে বেড়িয়ে যাওয়া সকল গাড়ির গতিবিধি অনুসরণ করে ইয়ালোভা কিংবা বেলগ্রাদ বনের বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অনুসন্ধানকারীরা এখন স্থান দুটিতে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়া ইয়ালোভা ও বেলগ্রাদ বনের আশেপাশের এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ থেকেও লাশ ফেলার স্থান শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
তুরস্কের কর্মকর্তারা খুব শীঘ্রই খাসোগির মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। রয়টার্সকে তিনি বলেন, সৌদি কনস্যুলেট ও কনসাল জেনারেলের বাসভবনে অনুসন্ধানের সময় সেখান থেকে নেওয়া নমুনা খাসোগির ডিএনএর সঙ্গে মেলে কি না, তা পরীক্ষা করা হয়েছে।
আমার মনে হয়না এখন আর তার লাশের বিষয়ে সৌদি আরবকে কিছু জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন রয়েছে। উল্লেখ্য, সাংবাদিক খাসোগি ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তুরস্ক তখন দাবি করেছে, কনস্যুলেট ভবনের ভেতর সৌদি এজেন্টরা খাসোগিকে হত্যা করার পর তাঁর দেহ টুকরো টুকরো করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এই হত্যা মিশনে অংশ নিয়েছিল রিয়াদ থেকে ইস্তাম্বুলে আসা ১৫ সদস্যের সৌদি স্কোয়াড। শুক্রবার সৌদি আরব আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করে নেয় যে সৌদি কনস্যুলেটেই এক মারামারির ঘটনায় খাসোগি মারা যান। তবে দেশটি তার মরদেহ কোথায় রয়েছে এ বিষয়ে এখনো কোনো তথ্য প্রকাশ করেনি।