ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই একটি ঘুষ গ্রহণ মামলায় সংস্থাটির স্পেশাল পরিচালক রাকেশ আস্থানা’র নাম উল্লেখ করেছে। এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সর্বোচ্চ একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। সিবিআইয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ প্রধান কর্মকর্তা রাকেশ আস্থানা। তাকেই এ সংস্থার উত্তরাধিকার হিসেবে দেখা হয়। একটি মামলায় সংস্থার আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার নাম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।
সংস্থাটির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তদন্ত করছে। এ টিমেরও প্রধান তিনি।
অভিযোগ আছে, ব্যবসায়ী মইন কুরেশির কাছে ঘুষ দাবি করেছেন তিনি ও অন্যরা। শুধু তা-ই নয়। তাদের কাছ থেকে তারা ঘুষ নিয়েছেনও। তবে এই তদন্তের আগে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনকে (সিভিসি) এ বিষয়ে অবহিত করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তারা জানিয়ে দিয়েছে যে, আস্থানার বিরুদ্ধে ৬টি দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে তারা। গোয়েন্দা এজেন্সি আরো দাবি করেছে, সংস্থার পরিচালক অলোক বর্মার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছিলেন আস্থানা। একই সঙ্গে তিনি সিভিসি’তে অলোক বর্মার বিরুদ্ধে অসাড় অভিযোগ পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের ভীতি প্রদর্শন করছিলেন। দুবাই-ভিত্তিক মধ্যস্থতাকারী মনোজ প্রসাদকে গ্রেপ্তারের পর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে একশনে যায় সিবিআই। ২০১৪ সালে আয়কর বিভাগ ঘেরাও দিয়ে তল্লাশি করে মইন কুরেশির সব কিছু।
তিনি সিবিআইয়ের সাবেক পরিচালক এ পি সিংয়ের কাছে যেসব এসএমএস পাঠিয়েছিলেন তাকে কেন্দ্র করে এ পি সিং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিসেস কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে একটি মামলা করে সিবিআই। রাকেশ আস্থানা কতগুলো মামলা নিজে হাতে নিয়েছিলেন। তার একটি এটি। এ মামলার অভিযোগকারী সানা সতীশ ৪ঠা অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাকেশ আস্থানার নাম প্রকাশ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আরো অধিক অর্থ দেয়ার জন্য তাকে হয়রান করছিলেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। সতীশ আদালতে বলেন, তিনি কিভাবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১০ মাস সময়ে ৩ কোটি রুপি পরিশোধ করেছেন সিবিআইয়ের মামলা থেকে দূরে থাকার জন্য।