তার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন একাধিক নারী। আর তারই জেরে ইন্ডিয়ান আইডল রিয়েলিটি শো থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন অনু মালিক। সুত্রের খবর, ইন্ডিয়ার আইডল যে চ্যানেলে প্রচার হয় সেই সনি কর্তৃপক্ষ অনু মালিককে সরে যাবার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। আর তার পরই রবিবার এক বিবৃতিতে অনু মালিক জানিয়েছেন, তিনি ইন্ডিয়ান আইডল ১০ থেকে সরে দাড়াচ্ছেন। ২০০৪ সাল থেকে অনু মালিক ইন্ডিয়ান আইডল প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে যুক্ত থেকেছেন। মি টু আন্দোলন শুরু হওয়ার পর এই সুরকার, সংগীত পরিচালক ও সংগীতশিল্পীর বিরুদ্ধে প্রথম যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলেছেন সোনা মহাপাত্র ও শ্বেতা পন্ডিত। তারা দুজনই সংগীতশিল্পী। তারা অনু মালিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ করে বলেছেন, লোকটি বিকৃত মানসিকতার।
শ্বেতা পন্ডিত অভিযোগ করে বলেছেন, ২০০১ সালে আমার বয়স ছিল ১৫। স্টুডিওতে গান কণ্ঠে তোলার সময় অনু মালিক তাকে কিস করার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। আরেক নারী নাম প্রকাশ না করে এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেছেন, কাজের ব্যাপারে আলোচনার জন্য একদিন রাত সাড়ে আটটা নাগাদ অনু মালিক তাকে বাসায় দেখা করতে বলেন। বাসায় ঢুকেই বুঝতে পারেন, অনু মালিক আর তিনি ছাড়া বাসায় কেউ নেই। তিনি বাসায় ঢুকতেই অনু মালিক কৌশলে দরজা বন্ধ করে দেন। বসার ঘরে সোফায় অনু মালিক পাশে এসে হঠাৎ তার স্কার্ট তুলে দেন এবং নিজের প্যান্ট খুলে ফেলেন। এ সময় তিনি অনু মালিককে ধাক্কা মেরে সোফা ছেড়ে উঠে পড়েন। দৌড়ে দরজার কাছে ছুটে যান। বুঝতে পারেন, দরজা পুরো লক। তখন কেউ একজন বাইরে থেকে কলবেল বাজাতেই রক্ষা পান তিনি।