× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রিক্সা ভাংচুর ও চালককে মারধর জাবি নিরাপত্তা কর্মকর্তার

অনলাইন

জাবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২১, ২০১৮, রবিবার, ৬:৩২ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চলাচলরত বেশ কয়েকটি ইঞ্জিনচালিতরিক্সাও ভ্যান ভাংচুর এবং চালককে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বিরুদ্ধে। রবিবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইঞ্জিনচালিত রিক্সা (অটো রিক্সা) চালানোর অভিযোগে সুদীপ্ত শাহীনের নির্দেশে ১০-১২ টি রিক্সার চাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে দেন নিরাপত্তা অফিসের কর্মকর্তারা। এ সময় আহমদ আলী (৭৫) নামে একজন অসুস্থ বৃদ্ধ রিক্সাচালককে হেনস্থা করেন বলেও জানা যায়।

হেনস্থার শিকার আহমদ আলী বলেন,“আমি আজ প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে রিক্সা নিয়ে এসেছি। শরীরটা খুব অসুস্থ ছিলো এইজন্য বটতলা পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ি। তাই একটু বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। হঠাৎ শাহীন স্যারসহ আরো কয়েকজন বড় ছুরি নিয়ে আসে। তাদের পায়ে ধরে অনুরোধ করার পরও তারা আমার রিক্সার চাকা কেটে দেয়। তাদেরকে বলেছিলাম বাবা আমার গলায় ছুরি দাও তবু রিক্সার চাকা কেটো না।
আমার ঠিক করার মত টাকা নাই।”

এদিকে আহমদ আলীর (৭৫) হেনস্থার শিকার হওয়ার ঘটনা জানতে পেরে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ তার পাশে দাঁড়ান।
ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল মোর্শেদ সাদী জানান, “চিকিৎসা ব্যয় জোগাড় করতে বিশ্ববিদ্যালয়ে রিক্সা চালাতে আসেন আহমদ আলী। কিন্তু ইঞ্জিনচালিত রিক্সা হওয়ায় নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তারা তার রিক্সার চাকা কেটে দেন। তিনি তাদের পা ধরে কান্নাকাটি করলেও তাকে রেহায় দেয়নি । তার গায়ে ছিল ১০৩ ডিগ্রি জ্বর। অসুস্থ আহমদ আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বসে কান্নাকাটি করতে থাকেন। পরে খবর পেয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা তাকে রিক্সা মেরামতের জন্য ১৪০০ টাকা দেন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। পরে রিক্সা চালক আহমদ আলীকে বাড়ি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন তিনি।”

এছাড়াও জহির নামের এক রিক্সাচালক অভিযোগ করে বলেন, ‘শাহীন স্যার এসময় আমাকেসহ বেশ কয়েকজন রিক্সাচালককে মারধর করেন।’
যোগযোগ করা হলে প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন বলেন,“আমাদের নিরাপত্তা টিম আজ বেশ কয়েকটি অটোরিক্সা অকেজো করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের করে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে কোন অটো রিক্সা চলতে দেওয়া হবে না। ইতিপূর্বে কয়েকবার মাইকিং করা হয়েছে তারপরও বন্ধ না হওয়ার কারণে আমাদের এই অভিযান।”

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি জুয়েল রানা বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক নিয়ম কানুন আছে তারপরেও আমরা মানুষ সে হিসেবে আমাদের মানবিক হওয়া প্রয়োজন। শাহীন ভাই বাবার বয়সের একজন মানুষের এভাবে ক্ষতি না করলেও পারতেন।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, “ নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন এভাবে কারো উপর শক্তি প্রয়োগ করতে পারেন না। তিনি প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন। কিন্তু যাকে তাকে এভাবে মারধর করা ভাংচুর করার অধিকার তার নেই।”
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর