× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্যাংকিং খাতে ২১ হাজার কোটি টাকা তারল্য বেড়েছে

এক্সক্লুসিভ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
২২ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

নগদ জমা সংরক্ষণ (ক্যাশ রিজার্ভ রেশিও বা সিআরআর) এর হার কমানোর ফলে ব্যাংক খাতে ফিরতে শুরু করেছে তারল্য। চলতি বছরের ২য় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ব্যাংক খাতে তারল্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) যার পরিমাণ ছিল ৭৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। সে হিসেবে ২য় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) ২০ হাজার ৬০০ কোটি টাকার তারল্য বেড়েছে ব্যাংক খাতে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে তারল্য সংকট গুরুতর আকার ধারণ করে। সেই সমস্যা সমাধনে ৪ঠা এপ্রিল নগদ জমা সংরক্ষণের হার ৬.৫ শতাংশ থেকে ৫.৫ শতাংশে কমিয়ে আনার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তারই ফল হিসেবে চলতি বছরের ১ম প্রান্তিকের তুলনায় ২য় প্রান্তিকে ২৭ শতাংশ তারল্য বেড়েছে ব্যাংক খাতের।প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) ব্যাংকগুলোর ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক, যা প্রতিবেদন থেকে জানা যায়।
ব্যাংকগুলোতে ভারসাম্য আনতে সিআরআর কমানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ১ শতাংশ হারে সিআরআর কমানোর ফলে টাকা আসে ব্যাংকগুলোর হাতে। এর ফলে গত ২ মাসে সামগ্রিক ব্যাংক খাতে ১ থেকে ২ শতাংশ হারে ঋণের বিপরীতে সুদ হার কমতে শুরু করেছে।

ঋণের বিপরীতে সুদ হার এক অঙ্কে নিয়ে আসার শর্তে সিআরআর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। বর্তমানে ১০ থেকে ১১ শতাংশ হারে সুদ গ্রহণ করছে বেশিরভাগ ব্যাংক। একমাস আগেও এই সুদের হার ছিল ১৩ শতাংশের উপরে।
এক ব্যাংকার বলেন, বর্তমানে আমাদের ব্যাংকের সুদ হার এক অঙ্কের ঘরে নেমে এসেছে তবে তা শুধু শিল্প ঋণের ক্ষেত্রে। ভোক্তা ঋণের ক্ষেত্রে এখনো ১৩ শতাংশ হারে ঋণ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। প্রয়োজনের তুলনায় টাকার প্রবাহ বেশি থাকলে তাকে অতিরিক্ত তারল্য বলা হয়। সিআরআর কমানোর ফলে সেই ঘটনা ঘটেছে ব্যাংক খাতে।

জুন মাস শেষে অতিরিক্ত তারল্যের ৫৩ হাজার ৫৫ কোটি টাকা রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে। কিন্তু মার্চ মাসে এই টাকার পরিমাণ ছিল ৪২ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্যের ৫৫ শতাংশই রয়েছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে।
অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে রয়েছে ৩১ হাজার ২০০ কোটি টাকা। মার্চ প্রান্তিকে যার পরিমাণ ছিল ২১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। অতিরিক্ত তারল্যের ৪৭.৫৮ শতাংশ রয়েছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর কাছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বেশিরভাগের সুদহার এখনো রয়েছে দুই অঙ্কের ঘরে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর