ফরিদগঞ্জে গোপন বৈঠক চলাকালীন সন্দেহভাজন ৭ জঙ্গিকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ, ২টি পেইনড্রাইভ ও ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। আটক ৭ জনের বাড়ি ৭ জেলায়। তারা প্রত্যেকে কওমি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষক বলে ধারণা করা হচ্ছে। গতকাল রোববার দুপুরে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে পুলিশ তাদের কোর্টে প্রেরণ করেছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় কেরোয়া গ্রামের প্রবাসী আবু রায়হানের নির্জন বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. হারুনুর রশিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে পৌরসভার উত্তর কেরোয়া এলাকার সৌদি প্রবাসী মো. আবু রায়হানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো- চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মো. কাওসার হামিদ (১৯), কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার মাহমুদুর রহমান (২৪), নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর থানার মো. রাশেদুল ইসলাম (২৫), ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার কামরুল হাসান (২৭), কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার নেয়ামত উল্লা (২৬), টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলার মো. হাবিবুর রহমান (৩০) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে উপজেলার মো. ফজলুল করিম (৩০)।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জনিয়েছে, ফরিদগঞ্জের কাউসার হামিদ শনিবার বিকালে অপর ৬ জনকে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে অবস্থান নেয়। এ সময় বাড়ির লোকজন ঘরে ছিল না। সন্ধ্যায় পুলিশের কাছে সংবাদ যায় ওই বাড়িতে কয়েকজন অপরিচিত লোক গোপন বৈঠক করছে। তাৎক্ষণিক পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি আরো জানান, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। তবে তারা কোন উদ্দেশ্যে সেখানে জড়ো হয়েছিল তা জানা যায়নি। তবে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাওয়া হয়েছে ।
চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মো. জিহাদুল করিম পিপিএম বলেন, আটককৃতরা গোপনে তাদের সদস্য সংগ্রহ করছিল বলে প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুল হোসেন জানান, ঘটনার বিস্তারিত জানতে আটককৃতদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।