× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তার লড়াই

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০১৮, সোমবার, ৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই কার্যত এক যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। যা এনডিএ সরকারের জন্য বিব্রতকর। এ সংস্থার শীর্ষ দুই কর্মকর্তার মধ্যে উন্মুক্ত লড়াই শুরু হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ হওয়ার আগে সিবিআইয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের মামলা করেছে সিবিআই।

ওদিকে রাকেশ আস্থানা অভিযোগ তুলেছেন পরিচালক অলোক বর্মার বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, তাকে তাড়ানোর চেষ্টা করছেন অলোক বর্মা। সরকারের কাছে তিনি লিখিত দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যে এফআইআর করা হয়েছে। একটি ঘুষ গ্রহণ মামলায় সংস্থাটির স্পেশাল পরিচালক রাকেশ আস্থানা’র নাম উল্লেখ করেছে।
এর মধ্য দিয়ে সংস্থাটির সর্বোচ্চ একজন সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে। সিবিআইয়ের দ্বিতীয় শীর্ষ প্রধান কর্মকর্তা রাকেশ আস্থানা। তাকেই এ সংস্থার উত্তরাধিকার হিসেবে দেখা হয়। একটি মামলায় সংস্থার আরো কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে তার নাম অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ।

সংস্থাটির স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতিতে জড়িত থাকার তদন্ত করছে। এ টিমেরও প্রধান তিনি। অভিযোগ আছে, ব্যবসায়ী মইন কুরেশির কাছে ঘুষ দাবি করেছেন তিনি ও অন্যরা। শুধু তা-ই নয়। তাদের কাছ থেকে তারা ঘুষ নিয়েছেনও। তবে এই তদন্তের আগে সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন (সিভিসি)কে এ বিষয়ে অবহিত করেছে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম। তারা জানিয়ে দিয়েছে যে, আস্থানার বিরুদ্ধে ৬টি দুর্নীতির মামলায় তদন্ত করছে তারা। গোয়েন্দা এজেন্সি আরো দাবি করেছে, সংস্থার পরিচালক অলোক বর্মার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছিলেন আস্থানা। একই সঙ্গে তিনি সিভিসি’তে অলোক বর্মার বিরুদ্ধে অসাড় অভিযোগ পাঠিয়ে কর্মকর্তাদের ভীতি প্রদর্শন করছিলেন। দুবাইভিত্তিক মধ্যস্থতাকারী মনোজ প্রসাদকে গ্রেপ্তারের পর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যায় সিবিআই।

২০১৪ সালে আয়কর বিভাগ ঘেরাও দিয়ে তল্লাশি করে মইন কুরেশির সবকিছু। তিনি সিবিআইয়ের সাবেক পরিচালক এ পি সিংয়ের কাছে যেসব এসএমএস পাঠিয়েছিলেন তাকে কেন্দ্র করে এ পি সিং ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিসেস কমিশনের একজন সদস্য হিসেবে পদত্যাগ করেন। ২০১৭ সালে একটি মামলা করে সিবিআই। রাকেশ আস্থানা কতগুলো মামলা নিজের হাতে নিয়েছিলেন। তার একটি এটি। এ মামলার অভিযোগকারী সানা সতীশ ৪ঠা অক্টোবর ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে রাকেশ আস্থানার নাম প্রকাশ করেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, আরো অধিক অর্থ দেয়ার জন্য তাকে হয়রান করছিলেন সিবিআইয়ের কর্মকর্তারা। সতীশ আদালতে বলেন, তিনি কীভাবে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১০ মাস সময়ে ৩ কোটি রুপি পরিশোধ করেছেন সিবিআইয়ের মামলা থেকে দূরে থাকার জন্য।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর