× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বর্বর পিতা

বাংলারজমিন

সেনবাগ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
২২ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার

সেনবাগে পিতার লালসার শিকার হলেন ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী (১৪)। এ জঘন্য ঘটনায় ছাত্রী বাদী হয়ে পিতা শহীদ উল্যা (৩৫)কে ধর্ষণের অভিযোগ এনে শনিবার রাতে সেনবাগ থানায় মামলা দায়ের করেছে। সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান তাৎক্ষণিক পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে ধর্ষক শহীদ উল্যাহকে রাত সাড়ে ১০টায় ছিলোনীয়া বাজার থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। অভিযুক্ত শহীদ উল্যাহ অর্জুনতলা ইউপির নাজিরনগর গ্রামের আশ্রাফ আলীর পুত্র। ছাত্রী সেনবাগ থানায় গণমাধ্যমকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানান, পিতা নামের এক কলঙ্ক শহীদ উল্যাহ। সে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মা মেয়েকে ঘুম পাড়িয়ে নির্লজ্জ কাজ করেছেন। প্রায় রাতেই তার লালসার শিকার হয়ে বাধা দিলে হত্যার হুমকি দিতো। শেষ পর্যন্ত বাদী তার মা আমেনা খাতুনকে বিষয়টি জানালে তারা ঘটনার রাতে পাহারা দিয়ে শহীদ উল্যাহকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
এ ঘটনায় পরিবারে নেমে আসে অন্ধকার। কি করবে, কোথায় যাবে অসহায় পরিবারটি। এর মধ্যে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি জানাজানি হলে বাদীর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। জানা গেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র বিষয়টি ধামাচাপা দিয়ে মাসখানেক টালবাহানা করার বিষয়টি ভিকটিম জানিয়েছেন। পিতার লালসার শিকারে নাজিরনগর থেকে মা আমেনা খাতুন ভিকটিমসহ অপর তিন সন্তানকে নিয়ে গত ৫ দিন আগে সেনবাগ পৌরশহরে এক আত্মীয়ের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে। আসামি শহীদ উল্যাহ স্থানীয় ছিলোনীয়া বাজারে চা দোকান করতো। সেনবাগ থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, গতকাল সকালে শহীদ উল্যাহকে নোয়াখালীর বিচারিক আদালতে ও ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। সেনবাগে এমন জঘন্য ঘটনায় শহীদ উল্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর