বাংলাদেশের ক্রিকেটে দীর্ঘদিনের হাহাকার পেস বোলিং অলরাউন্ডার। সেই আক্ষেপ ঘোচানোর দারুণ সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছে মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের মাঝে। ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছেন ২১ বছর বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটার। এশিয়া কাপ দলে সুযোগ পাননি সাইফুদ্দিন। আর জিম্বাবুয়ে সিরিজে দলে ফিরেই সামর্থ্যের জানান দেন তিনি। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৩ উইকেট নিয়ে বোলিংয়ে প্রস্তুতি সারেন ডানহাতি পেসার সাইফুদ্দিন। ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি তার। প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্য সরকারের অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটের জয় (১৭৯ টার্গেট) কুড়ায় বিসিবি একাদশ। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতেই ব্যাটিং ঝলক দেখান সাইফুদ্দিন। গতকাল আট নম্বরে নেমে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এটি তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ ওয়ানডে। আগের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল ১৬ রান। ব্যক্তিগত ৫০ রানে শেষ ওভারে আউট হন সাইফুদ্দিন। ৬৯ বলের ইনিংসে ছিল ৩ চার ও ১ ছক্কার মার। তার আগে দলের বিপদের সময় দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী দেখান এই উদীয়মান অলরাউন্ডার। দলীয় ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ইমরুল কায়েসের সঙ্গে রেকর্ড ১২৭ রানের জুটি গড়েন সাইফুদ্দিন। বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে সপ্তম উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটি ১০১ রানের। ডুনেডিনে ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সপ্তম উইকেট জুটিতে দাঁড়িয়ে যান মুশফিকুর রহীম ও নাঈম ইসলাম। ব্যাটিংয়ের শক্তি বাড়াতে লোয়ার অর্ডারে সম্ভাবনাময় কাউকে প্রয়োজন বাংলাদেশ দলের। পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফুদ্দিনের সামনে জায়গাটা পোক্ত করার চ্যালেঞ্জ। কলম্বোতে গত বছরের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক হয় সাইফুদ্দিনের। কিম্বারলিতে একই বছরের অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যাপ পরেন তিনি। লাল-সবুজ জার্সিতে ৬টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮৮ রান করেন সাইফুদ্দিন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ৩৯*। এই ফরমেটে বল হাতে উইকেট নেন ৪টি। আর ওয়ানডেতে আগের তিন ম্যাচে করেন ৩০ রান। উইকেট ১টি।