দেশে এখনো ৩ কোটি মানুষ দরিদ্র। যার মধ্যে ১ কোটি হতদরিদ্র বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন- ২০১৮’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের বার্ষিক দারিদ্র্য দূরীকরণ হার এখনো ২ শতাংশের যথেষ্ট নিচে রয়েছে। এটাকে ২ শতাংশে যদি আমরা নিতে পারি তাহলে হয়তো আগামী ১০ বছরে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূরীভূত করতে পারব। তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে দারিদ্র্যসীমা অন্তত ১০ শতাংশের মধ্যে নিয়ে আসা। এজন্য আমরা যে কার্যক্রম গ্রহণ করছি সে অনুযায়ী যদি ৭-৮ বছর চালিয়ে যেতে পারি তাহলে সেই লক্ষ্যে আমরা পৌঁছে যেতে পারি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ওই অবস্থায় আমরা যখন দেশটাকে স্বাধীন করলাম তখন আমাদের একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা হলো এ দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করা। তখন দেশের অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ দরিদ্র, সম্ভবত এটা ৮০-৯০ শতাংশ হতে পারে।
এদের উন্নয়নই হলো আমাদের দেশের উন্নয়নের মূলমন্ত্র। প্রথম দিনই সেটা উন্নয়নের মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করেছে। আজও সেটা একই কাজই করছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমরা দারিদ্র্যকে অনেকভাবে হারিয়েছি। কিন্তু এখনো প্রায় তিন কোটি মানুষ দরিদ্র আছে। তার মধ্যে আবার এক কোটি অত্যন্ত হতদরিদ্র। সরকারের লক্ষ্যমাত্রা ১৯৭১ সালে নির্ধারিত হয়েছিল সেটা এখনো আছে। তিনি বলেন, দারিদ্র্য দূরীকরণ মানে এই নয় যে দেশে কোনো গরিব লোক থাকবে না। কিছু দরিদ্র সবসময় থাকবে। আমেরিকার মতো অত্যন্ত ধনী দেশেও ১৪ শতাংশ মানুষ গরিব। তবে মালয়েশিয়ায় পৃথিবীর সবচেয়ে কম, মাত্র ৭ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার মধ্যে আছে।
কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুস্থ সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চায় সম্পৃক্ত করার মাধ্যমে উন্নয়নকে টেকসই করতে শিশু-কিশোরদের নিয়ে সংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, এ কর্মসূচির আওতায় দেশের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় এক লাখ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে সৃজনশীল ও জ্ঞানভিত্তিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ৭১০ জনকে বাছাই করা হয়। বাছাই করা কিশোর-কিশোরীদের নিয়ে ‘বাংলাদেশ কিশোর-কিশোরী সম্মেলন ২০১৮’ আয়োজন করা হয়েছে। নবম হতে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
পিকেএসএফ সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পিকেএসএফের সদস্য নাজনীন সুলতানা, স্বাগত বক্তব্য দেন পিকেএসএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল করিম।