× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘দেশজুড়ে আবারও শুরু হয়েছে গুপ্ত হত্যা’

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০১৮, সোমবার, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

দেশজুড়ে আবারও গুপ্ত হত্যা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।  রিজভী আহমেদ বলেন, গতকালও নারায়ণগঞ্জে সড়কের পাশে গুলিবিদ্ধ ৪ যুবকের ও উত্তরায় দিয়াবাড়ির কাশবনে দুই যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। তিনি বলেন, এছাড়াও সারাদেশে এখন আবারও সড়কের পাশে, নদীর ধারে, ঝোঁপঝাড়ে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে যুবকদের রক্তাক্ত লাশ। এর সঙ্গে বিচারবর্হিভূত হত্যা তো প্রতিদিন চলছেই।
রিজভী বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে তরুণ-যুবক সমাজকে ভয় পাইয়ে দেয়ার জন্যই সরকারি পৃষ্টপোষকতায় পাইকারি গুপ্ত হত্যা শুরু হয়েছে দেশব্যাপী। আর এ ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়া হয়েছে ইনডেমনিটি। কারণ একটাই, একতরফাভাবে নির্বাচন করতে তরুণ-যুবকদের কোন যেন প্রতিরোধ না হয়।  অবৈধ সরকার যাদেরকে ক্ষমতার প্রতিদ্বন্ধী মনে করবে তাদেরই লাশ ধানক্ষেত, খাল বিলে পড়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে রিজভী বলেন, আমি পরিস্কার বলতে চাই যুব সমাজ, তরুণ সমাজ, ছাত্রসমাজ, কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি জনতা আপনার দুঃশাসনের যাতাকলে পিষ্ট। তারা আপনাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
চক্রান্তের বেড়াজাল তৈরি একের পর এক কালা-কানুন প্রণয়ণ করে, মানুষ হত্যা করে, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে আর রেহাই পাওয়া যাবে না। ডিজিটাল কালা-কানুন গ্রাস করেছে দেশের গণতন্ত্রকে। দিগন্ত রেখায় আপনার পতনের চিহ্ন ফুটে উঠছে।  
তিনি বলেন, চারিদিকে এখন শুধু সরকার পতনের আওয়াজ, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার আওয়াজ। নিপীড়ন নির্যাতনের  পাশাপাশি আপনার কথা বক্তব্য বিবৃতিতেও মানুষ নির্যাতন বোধ করে।  

এসময় তিনি বলেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কিমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরিকে উচ্চতর আদালত ও নিন্ম আদালতে জামিনে থাকার পরও গতকাল চট্রগ্রামে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে আইসিটি আইনে মামলা করা হয়েছে তাকে হয়রানী করার জন্য। শেখ হাসিনা বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারাগারে আটকে রাখতে চাচ্ছে শুধুমাত্র তাঁর গদি রক্ষার জন্য। দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কোনভাবেই যাতে প্রতিবাদ না ওঠে সেজন্যই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের এখন আটক করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আসলে আওয়ামী সরকার দেউলিয়া হয়ে গেছে। তারা অত্যধিক মাত্রায় দমন পিড়নের নীতি চালিয়েও স্বস্তি ও শংকামুক্ত হতে পারছে না। এজন্য সারাদেশে হাজার হাজার গায়েব মামলায় লক্ষ লক্ষ জ্ঞাত অজ্ঞাত নেতাকর্মীকে আসামী করার পর এখন জাতীয় নেত্রীকর্মীদের আটকের পালা শুরু করেছে। তার প্রথম শিকার হলেন আমির খসরু। এসময় তিনি আমির খসরুর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের আটকের তথ্য তুলে ধরে রিজভী বলেন, আজ সোমবার সকালে নয়াপল্টন অফিসের সামনে থেকে মৎস্যজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাবকে আটক করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্তিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নাল আবদীন, ড. সাহেদা রফিক, বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ, আবদুস সালাম আজাদ, মো. মনির হোসেন প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর