× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে: দুদু

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২২, ২০১৮, সোমবার, ৭:৫৩ পূর্বাহ্ন

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিশু কল্যাণ মিলনায়তনে ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ এইড ফাউন্ডেশন-ইডাফ এর আয়োজনে ‘নির্বাচন ও মানবাধিকার’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, দেশপ্রেমিক সরকার গঠনের লক্ষ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। অথচ এই ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর বর্তমান ভোটারবিহীন, অবৈধ ও স্বেচ্ছাচারি সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে কতটা কার্যকর সরকারের ভাষাভঙ্গি দেখে ও বক্তব্য শুনলেই তা বুঝতে পারবেন। তিনি বলেন, শিগগিরই সরকারের মাথা আরও খারাপ হবে। দুদু বলেন, আগামী দু-এক সপ্তাহের মধ্যে আপনারা বুঝতে পারবেন কোথাকার পানি কোথায় গড়ায়। কত ধানে কত চাল হয়।
কারণ যারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সমাজ এবং রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক নেতা হিসেবে তাদের অতীত একটি পরিচয় আছে। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মানুষের মধ্যে আশাবাদ সৃষ্টি করেছে। এই কারণে ঐক্যফ্রন্টকে একটি সমাবেশের অনুমতি দিতেও গড়িমসি করছে সরকার। অন্যদিকে বিএনপি নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেনের প্রসঙ্গে দুদু বলেন, বাংলাদেশের অন্যতম গণতন্ত্র প্রিয় ব্যক্তি হল প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন। যিনি মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের পার্লামেন্টে বাকশাল গঠনের প্রতিবাদ করেন।  তখন শতশত রাজনীতিবিদের মধ্যে একমাত্র তিনিই বাকশালের বিরোধীতা করে পার্লামেন্ট থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। গণতন্ত্রের পক্ষে ভূমিকা নিয়েছিলেন। অথচ আজ ঠুনকো অভিযোগে দেশের প্রথিতযশা কিছু ব্যক্তি তার সঙ্গে যে আচরণ করছে, তাতে আমি অবাক হচ্ছি। তিনি বলেন, আমি অবাক বিষ্ময়ে তাকিয়ে দেখি আর ভাবি যখন দেশের শেয়ারবাজারের লুন্টনকারী হিসেবে যারা চিহ্নিত, বাংলাদেশের সেন্টাল ব্যাংক যখন লুটপাট সহ-অধিকাংশ ব্যাংক যখন ফাকা করে ফেলা হয়েছে। এসব ব্যক্তিরা কি তখন সরকারের বিরুদ্ধে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন? মামলা করেছিলেন?

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আজকে দেশে মানবাধিকার বলে কিছু নেই। যেখানে গণতন্ত্রের স্বাধীনতা থাকে না, বাকস্বাধীনতা থাকে না, ব্যক্তি তার অধিকার হারায়, সেখানে মানবাধিকার বলে কিছু থাকে না। বাংলাদেশে মানবাধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। দেশবাসী এবং বিশ্ববাসী জানে স্বাধীন বাংলাদেশে এখন একটি ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই ফ্যাসিবাদ এতটাই ভয়ঙ্কর যা সৃজনশীল ও ভালো কাজগুলোকে তছনছ করে ফেলেছে। আমাদের অতীতের গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। এসময় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই। নিজেদের প্রয়োজনে, দেশের প্রয়োজনে, স্বাধীনতার মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার প্রয়োজনে ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা আবারও ১৯৭১ সালের চেতনায় জেগে উঠি।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেনÑ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, জিনাফের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর