ব্যাট হাতে দারুণ ফর্ম ধরে রাখলেন সৌম্য সরকার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর ঘরোয়া ক্রিকেটেও রানের মধ্যে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। খুলনা বিভাগের হয়ে প্রথম রাউন্ডে ম্যাচ বাঁচানো সেঞ্চুরি, তৃতীয় রাউন্ডের দুই ইনিংসেই ফিফটি (৭৬ ও ৭১) ও বল হাতে পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়েন সৌম্য। আর চতুর্থ রাউন্ডের প্রথম ইনিংসেও পেলেন অর্ধশতক। গতকাল খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৬৬ রানের ইনিংস উপহার দেন সৌম্য। আর প্রথম স্তরের ম্যাচে টস জিতে ২৮১/৭ সংগ্রহ নিয়ে প্রথম দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। দলীয় ১২ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর এনামুল হকের (৫৬) সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়েন সৌম্য। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তুষার ইমরান ব্যক্তিগত ৭১ রান করে আউট হন।
দলীয় ২০৬ রানে পাঁচ উইকেট হারানোর পর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ৭৩ রানের জুটি গড়েন তুষার। ৩৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন জিয়াউর। ওপেনার মেহেদী হাসান ১১, আফিফ হোসেন ১৪, অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৫ রান করেন। রাজশাহীর হয়ে তিন উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। দুই উইকেট পান ফরহাদ রেজা।
স্পিন ঘূর্ণিতে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে নজর কাড়েন চট্টগ্রাম বিভাগের নাঈম হাসান। তৃতীয় রাউন্ডে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ইনিংসে ক্যারিয়ার সেরা ৬ উইকেটের নৈপুণ্যে ম্যাচসেরা হন এই তরুণ অফস্পিনার। আর গতকাল ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে নিজেকে ছাড়িয়ে ৮ উইকেটের কীর্তি গড়েন নাঈম। কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাঈমের স্পিন ভেল্কিতেও ২৮৮ রান করে টসজয়ী ঢাকা বিভাগ। অর্ধশতক করেন ওপেনার আবদুল মজিদ (৭২) ও শুভাগত হোম (৫৭)। ওপেনার সাইফ হাসান ৪১, নাজমুল হোসেন মিলন ৩৫ রান করে আউট হন। নবম উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন মাহবুবুল আল অনিক (২২*) ও পেসার শাহাদাত হোসেন (৩৪)। সাইফ-মজিদের ৮২ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙে প্রথম ব্রেকথ্রু আনেন বাঁহাতি স্পিনার শাখাওয়াত হোসেন। এরপরের ৬ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠান নাঈম। মিলনকে ফিরিয়ে ইনিংসের অষ্টম উইকেট নেন পেসার ইরফান হাসান। শেষ দুই উইকেটে নতুন উচ্চতায় পা রাখেন ১৭ বছর বয়সী নাঈম।
সোহাগ গাজীর ঘূর্ণিতে তছনছ স্বাগতিক রংপুর
নাঈমের স্পিন ঘূর্ণির দিনে পাঁচ উইকেটের ভেল্কি দেখান আরেক ডানহাতি অফস্পিনার সোহাগ গাজী। তবে স্বাগতিক রংপুর বিভাগকে ১৪৭ রানে অলআউট করেও অস্বস্তি নিয়ে মাঠ ছাড়ে বরিশাল বিভাগ। প্রথমদিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩৫/২। শাহরিয়ার নাফিস (০) ও শামসুল ইসলাম দুইজনকেই ফেরান পেসার শুভাশিষ রায়। রাফসান আল মাহমুদ ১৪ ও আল আমিন ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এর আগে রংপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম স্তরের ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নেয় বরিশাল। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন ওপেনার রাকিন আহমেদ। সোহাগ গাজীর প্রথম শিকার নাঈম ইসলাম (৩৯)। রংপুরের ইনিংসের চতুর্থ উইকেট থেকে টানা পাঁচ উইকেট নেন গাজী। মাঝে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে রানআউট হন তানভীর হায়দার (২)। বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন পান ২ উইকেট। রাজশাহীতে দ্বিতীয় স্তরের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে ৯ উইকেটে ২৯২ রান করে সিলেট বিভাগ। ওপেনিং জুটিতে ৮৯ রান তোলেন অধিনায়ক ইমতিয়াজ হোসেন (৩১) ও শানাজ আহমেদ (৬০)। অর্ধশতক করেন জাকির হাসান (৫০) ও শাহনুর রহমানও (৫৪)। মেট্রোর হয়ে দুইটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ আশরাফুল, কাজী অনিক ও আরাফাত সানি।