সোনাইমুড়ীতে অবৈধভাবে বেড়ে উঠা প্রায় ডজন খানেক ইটের ভাটায় দীর্ঘদিন থেকে রাবার, কাঠ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে বিষাক্ত কালো ধোঁয়ার উদগিরণে পরিবেশ দূষণের অভিযোগ সহ কালো ধোঁয়ার ক্ষতিকারক কার্বন মনো-অক্সাইডে সবুজ উদ্ভিদ, গাছপালা ধান, শস্যাদির পাতার ক্লোরোফর্ম নষ্ট হয়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে বলে স্থানীয় জনগণের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে এলাকার জনগণের পক্ষ থেকে একাধিকবার মানববন্ধন প্রতিবাদ, লিখিত অভিযোগ প্রেরণ করার পরও স্থানীয় উপজেলা ও জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের টনক নড়েনি। উপরন্তু গোপনে পরিবেশ অধিদপ্তরের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে পরিবেশ ছাড়পত্রবিহীন ইটের ভাটাসমূহ সরকারি নীতিমালা বহির্ভূতভাবে সর্বোচ্চ ১২০ ফুটের পরিবর্তে ৪০ হতে ৬০ ফুটে খর্বাকৃতির চিমনি ব্যবহার এর মধ্য দিয়ে এখনও জ্বালানি হিসেবে রাবার কাঠ পুড়িয়ে চলছে। এতে ফসলি ভূমি আর সবুজ বৃক্ষ নিধন নয় একই সঙ্গে শিশু-বৃদ্ধা এবং অসুস্থরোগ শয্যায় শায়িত রোগীদের জন্যে আতংকের কারণ হয়ে ওঠেছে। বাস্তবে দেখা যায় কেবল পরিবেশ দূষণ নয়, একই সঙ্গে সোনাইমুড়ী কানকির হাট স্রোতস্বীনি খাল দখল করে খালের উপর বাঁধ নির্মাণ আবার ছোট কালভার্টের মতো করে পুরোখালটাই অবৈধভাবে ভাটার ইট পরিবহনের সড়ক হিসেবে ব্যবহার করছে। ফলে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে স্রোতস্বিনী খালে হয়ে পড়েছে জলাবদ্ধতা।
সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, সোনাইমুড়ী কানকির হাট সড়কের উত্তর পাশে প্রধান খালের উপর বাঁধ নির্মাণ করে ইটের ভাটায় যানবাহন যাতায়াত পথ নির্মাণ করেছেন মেসার্স এনবিএম ব্রিকের ছাত্তার কোম্পানি।
দক্ষিণ পাশেই তাঁর ভাই রাজ্জাক কেম্পানির আরেকটি ইটের ভাটা। বাজারের পূর্বপাশে অদূরবর্তী স্থানে প্রধান সড়কের উত্তর পাড়ে খালের উপর খর্বাকৃতির কালভার্ট নির্মাণ করে হাজী মন্নান গড়ে তুলেছেন এইচবিএম ইটের ভাটা। অনুরুপভাবে আরেকটু পূর্বে সোনাকান্দি গ্রামে খাল দখল করে কেবিএমসি ইটের ভাটা তৈরি করেছেন আরেক ব্যবসায়ী। এছাড়াও একই ইউনিয়নের চিলাদীগ্রামের মায়ের দোয়া, সন্তপুরের ‘রয়েল’ খনার পাড়ের ভাই-ভাই ব্রিকের খর্বাকৃতির চিমনি থেকে অবৈধ জ্বালানির বিষাক্ত ধোঁয়ায় এলাকা ছেয়ে গেছে।