ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে টানা সপ্তম জয় তুলে নিয়েছে আর্সেনাল। মেসুত ওজিল ও পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াংয়ের নৈপুণ্যে লেস্টার সিটিকে সহজেই হারিয়েছে কোচ উনাই এমেরির দল। এমিরেটস স্টেডিয়ামে সোমবার ম্যাচটি ৩-১ গোলে জেতে আর্সেনাল। আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর দলকে সমতায় ফেরান ওজিল। পরে তিনি অবামেয়াংয়ের দুটি গোলেই অবদান রাখেন। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে আর্সেনালের এটা টানা দশম জয়। এর আগে সর্বশেষ ২০০৭ সালে টানা ১০ ম্যাচ জিতেছিল দলটি। ম্যাচের ৩১তম মিনিটে কিছুটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে গোল খেয়ে বসে আর্সেনাল।
বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা লেস্টারের ইংলিশ ফুটবলার বেন কিলওয়েলের শট স্প্যানিয়ার্ড ডিফেন্ডার এক্তর বেইয়েরিনের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। বিরতির আগে ওজিলের দারুণ নৈপুণ্যে সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠ থেকে বল পায়ে অনেকখানি ছুটে ডান দিকে বেইয়েরিনকে পাস দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন জার্মান মিডফিল্ডার। ফিরতি বল পেয়ে তার কোনাকুনি শট পোস্টে লেগে জাল খুঁজে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে নাইজেরিয়ার মিডফিল্ডার উইলফ্রেডের হেড ক্রসবারের লাগলে বেঁচে যায় আর্সেনাল। কিছুক্ষণ পর তিন মিনিটের ব্যবধানে অবামেয়াংয়ের জোড়া গোলে ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দলটি। দুটি গোলেই অবদান রাখেন ওজিল। ৬৩তম মিনিটে এই জার্মান মিডফিল্ডারের পাস ধরে ছোট ডি-বক্সে বাড়ান বেইয়েরিন। ফাঁকায় বল পেয়ে নিখুঁত শটে গোলরক্ষককে করেন দুই মিনিট আগে বদলি নামা অবামেয়াং। ৬৬তম মিনিটে দারুণ গোছানো এক আক্রমণে ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে ছোট করে বাড়ান ওজিল। পরে অনায়াসে ব্যবধান বাড়ান গ্যাবনের স্ট্রাইকার। নয় ম্যাচে সাত জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে উঠেছে আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ২৩। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে লিভারপুল। চেলসি ও টটেনহ্যাম হটস্পারের পয়েন্টও আর্সেনালের সমান ২১। গোল ব্যবধানে এগিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের দলটি। টটেনহ্যামের অবস্থান পঞ্চম। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে আছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।