তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের লক্ষ্যে দিনভর ঘাম ঝরাচ্ছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এ ম্যাচের জন্য মঙ্গলবার সকাল ও দুপুর ভাগ করে দু‘দলই অনুশীলন করেছে ওই ভেন্যুতে।
ভেন্যু ব্যবস্থাপক ফজলে বারী খান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচ সামনে রেখে বাংলাদেশ দল মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা এবং জিম্বাবুয়ে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করেন। এ জন্য দুই দলই ১ ঘণ্টা আগে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে হোটেল থেকে রওনা হন।
তিনি বলেন, সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটিও একই ভেন্যুতে গড়াবে ২৬শে অক্টোবর। দুটি ম্যাচে অংশ নিতে দু-দলই বাংলাদেশ বিমান যোগে সোমবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম এসে পৌঁছে। দু‘দলের খেলোয়াড়রা এখন চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করছেন।
ওয়ানডে সিরিজ শেষে ৩-৭ই নভেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্ট ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। আর এই ম্যাচ দিয়েই নয়নাভিরাম স্টেডিয়ামটির টেস্ট অভিষেক হবে। দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ১১-১৫ই নভেম্বর মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
প্রথম ম্যাচে ২৮ রানে জিতে বেশ ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে বাংলাদেশ দল। দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলেই সিরিজ জয় করবে বাংলাদেশ। সুতরাং সে লক্ষ্যেই মাঠে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে টাইগাররা।
অন্যদিকে হারলেই সিরিজ হাতছাড়া করবে জিম্বাবুয়ে। সুতরাং এ ম্যাচটি দু‘দলের জন্য 'ডু অর ডাই' ম্যাচে পরিণত হয়েছে।
ম্যাচের জন্য মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে জিমন্যাসিয়াম ও জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের বিটাক মোড় কাউন্টারে টিকিট বিক্রী শুরু হয়।
এতে গ্যালারী পূর্ব ১০০ টাকা, গ্যালারী পশ্চিম ১৫০ টাকা, ক্লাব হাউস ৩০০ টাকা, ভিআইপি ১০০০ টাকা এবং হসপিটালিটি বক্সের টিকিট ১টি ৫ হাজার টাকায় বিক্রয় হয়। এছাড়া ইউসিবিএল ব্যাংকে অনলাইনের ইউ ক্যাশের মাধ্যমেও টিকিট ক্রয় করেন দর্শকরা।
প্রসঙ্গত, এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ২০০৬ সালে জিম্বাবুয়ে হারিয়ে কোন দেশের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছিলো বাংলাদেশ। কিন্তু তারপরেও চট্টগ্রামের ২য় ভেন্যু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামই বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত হিসেবে অলিখিত স্বীকৃতি পেয়েছে। এ মাঠ সবসময় বাংলাদেশের কথা বলেছে। এ মাঠেই রচিত হয়েছে টাইগারদের অসংখ্য কীর্তি। ২০১১ সালে ইংল্যান্ডকে হারানো, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৬১ রানে অলআউটের রেকর্ড তো এখানেই।
জিম্বাবুয়েকে এ মাঠে এর আগে একাধিকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিই জিতেছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে এখানে কোন ম্যাচই জিততে পারেনি। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ খেলেছে মোট ১৭টি ম্যাচ। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১০টিতে। ৭ ম্যাচের মধ্যে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে দুটি এবং শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছে হেরেছে একটি করে ম্যাচ।