× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দুর্গা পূজা কার্নিভালে বৈভব ও বৈচিত্র্যের প্রদর্শনী

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২৩, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৬:৪১ পূর্বাহ্ন

কলকাতা জুড়ে মন্ডপে মন্ডপে দুর্গা পূজার ঐশ্বর্যময়ী বৈভব ও বৈচিত্র্যের মুৃখোমুখি হয়েছিলেন লাখ লাখ মানুষ। সেই বৈভব ও বৈচিত্র্যকে মন্ডপের সুরে মঙ্গলবারের বিকেলে ফের দেখার সুযোগ হয়েছে। কলকাতার রেডরোডে পূজা কার্নিভালের আবহে দেখা গিয়েছে ৭৫টি বিশ্ববঙ্গ শারদ সম্মানে ভূষিত সেরা পূজার প্রতিমাগুলিকে। সঙ্গে দেখা গেছে নানা সংস্কৃতির নানা বিচ্ছুরণ। তিন বছরে পা দিয়েছে এই পুজো কার্নিভাল। রাজ্যের মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পনাতেই এই পূজা কার্নিভালের সূচনা হয়েছিল।

এবার কার্নিভালের আকর্ষণ আরও বেড়েছে। আর তাই দেশ বিদেশ থেকে এসেছেন অতিথিরা। বিদেশিদের মধ্যে দেখা গেছে প্রবল উচ্ছ্বলতা।
কখনো তারা হাত রেড়ে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহনকারি শিল্পীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। কখনো উঠে দাঁড়িয়ে প্রতিমার প্রতি সম্মান জানাচ্ছেন। রেডরোডের দুপাশে বিভিন্ন মঞ্চে উপস্থিত থেকে প্রায় ২০ হাজার মানুষ এই কার্নিভাল দেখলেও বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ইন্টারনেটের দৌলতে এর বর্ণময় উৎসবের আনন্দ উপভোগ করেছেন।

এদিন রাজবাড়ির ঠাকুরদালানের অনুকরণে তৈরি বিশেষ মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়সহ মন্ত্রিসভার সদস্যরা, সাংসদরা উপস্থিত ছিলেন। সেলিব্রিটিদের প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। প্রায় ১৫০০ বিদেশি অতিথি উপস্থিত ছিলেন আলাদা মঞ্চে। বিদেশি সব দূতাবাসের প্রতিনিধিরা এসেছিলেন অন্যতর সাংস্কৃতিক পরিচয়ের মুখোমুখি হতে। এদিন  বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে চলেছে এই কার্নিভাল।
ফোর্ট উইলিয়ামের সাউথ গেট থেকে শুরু করে একের পর এক দুর্গা মূর্তিপ্রতিমা পৌঁছে গিয়েছে গঙ্গার ঘাটে বিসর্জনের জন্য। এদিন শোভাযাত্রা শুরুর আগে একশ ঢাকির ঢাকের বোলে মুখরিত হয়ে উঠেছিল রেডরোড। মন্ডপের সুরে পূজার আবহ তৈরি হয়েছিল। শুরুতেই গায়ক অভিজিৎ ঢাকের কাঠিতে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন শ্রীভুমি স্টোটিং ক্লাবের প্রতিমা নিয়ে।

চিতোরের দুর্গের অনুকরণে তৈরি মন্ডপ এখানে দেখা না গেলেও একশ নৃত্যশিল্পী পরিবেশন করেছেন রাজস্থানী নৃত্য। এরপর একের পর এক প্রতিমা এগিয়ে গিয়েছে। তাদের নিজস্ব থিম ভাবনাকে জানান দেবার মাধ্যমে। সঙ্গে সাংস্কৃতিক পরিবশনায় কখনো হাজির হয়েছিলেন ছৌ, কখনো লোক শিল্পীরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর