মানবজমিন পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পর শিশু চাঁদনীকে ফিরে পেলো তার পরিবার। শিশু চাঁদনীকে পেয়ে খুশি বাবা দুলাল হোসেন ও মা মরিয়ম বেগম। নীলফামারীর জেল সুপার নজরুল ইসলাম বাড়িতে কাজের কথা বলে শিশু চাঁদনীকে তার রংপুর কোতোয়ালির গণেশপুর হলদিটারী বাড়িতে রাখে। সেখানে জেল সুপারের স্ত্রী কাকলী বেগম ও তার পরিবারের সদস্যরা শিশু চাঁদনীর ওপর নির্যাতন চালায়। এনিয়ে গত ১১ই আক্টোবর মানবজমিন পত্রিকায় নীলফামারীর জেল সুপারের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট আদালতে মামলা শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশ হলে টনক নড়ে জেল সুপার নজরুল মিয়ার। রিপোর্ট নিয়ে প্রশাসনের উপর মহলে তোলপাড় শুরু হলে- কোনো উপায় না পেয়ে জেল সুপার নজরুল মিয়া সোমবার চাঁদনীর পরিবারের হাতে মেয়েকে তুলে দেয়। মানবজমিন পত্রিকায় রিপোর্টের পর মেয়েকে ফিরে খুশি শিশু চাঁদনীর বাবা দুলাল হোসেন। দুলাল হোসেন জানান, আমার মেয়েকে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে, আমি মেয়ে চাইলে আমাকে মেয়ে না দিয়ে হুমকি দেয়।
শেষে মানবজমিন পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ায় আমার মেয়েকে ফেরত পেলাম।
খুশি চাঁদনীর মা মরিয়ম বেগমও। উদ্ধার শিশু চাঁদনী জানান, সাংবাদিক রিপোর্ট না করলে আমাকে নিয়ে আসা আমার পরিবারের ক্ষেত্রে সম্ভব হতো না। তারা আমার বাবা মাকে হুমকি দেয়। গরিব মানুষ অনেক ছুটাছুটি করেও আমি ফিরে পেতাম না আমার পরিবারকে। আমি এখন আমার পরিবারকে পেয়ে অনেক খুশি।