× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঝিনাইদহের একশ’ প্রধান শিক্ষককে শোকজ

বাংলারজমিন

আমিনুল ইসলাম লিটন, ঝিনাইদহ থেকে
২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

ঝিনাইদহ জেলায় এক শ’ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। যথাসময়ে স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (স্লিপ) টাকার হিসাব না দেয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান এই কারণ দর্শাও নোটিশ জারি করেন। তিনি এ খবরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, ৬ উপজেলার মধ্যে শুধুমাত্র হরিণাকুণ্ডুু উপজেলা থেকে কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব দেয়া হয়েছে। সঙ্গে দেয়া হয়েছে ৪০ হাজার টাকার বিল ভাউচার। তবে সারা জেলায় স্লিপ গ্রান্ডের টাকা কিছু না কিছু নয় ছয় হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইদহ জেলায় স্লিপ প্রকল্পের আওতায় ৯০৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২১৪টি, কালীগঞ্জে ১৫১টি, কোটচাঁদপুরে ৭৪টি, মহেশপুরে ১৫৩টি, শৈলকুপায় ১৮০টি ও হরিণাকুণ্ডুু উপজেলায় ২৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে গত জুনের আগে ৩ কোটি ৬২ লাখ ৮০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়।
প্রতিটি বিদ্যালয়ে দেয়া হয় ৪০ হাজার টাকা। বিদ্যালয়ভিত্তিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যৌথ অ্যাকাউন্টে এই টাকা দেয়া হলেও অধিকাংশ স্কুলে ভুয়া বিল ভাউচার জমা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার গুরুতর অভিযোগ ওঠে। স্লিপ প্রকল্পের বরাদ্দ ও খরচ করানো সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ‘অগ্রিম হিসেবে উত্তোলিত স্লিপ গ্রান্ডের অর্থ কোনোরূপ বিলম্ব না করে দ্রুততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করতে হবে এবং ৩০ জুনের মধ্যে স্লিপ প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কিন্তু সরজমিন দেখা গেছে ভুয়া ভাউচার ও প্রত্যয়নপত্র জমা দিয়ে টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। কোনো কাজ করা হয়নি। মহেশপুরের ১৫নং কুশাডাঙ্গা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোর্শেদা খাতুনকে স্কুল পরিচালনা কমিটির এক সদস্য টাকার হিসাব চাইলে তিনি মানহানি মামলা করার হুমকি দেন। স্লিপ কমিটির সভাপতি মকছেদ আলী তিনি নিজেই এই টাকার খবর জানেন না বলে অভিযোগ করেন। তারা এ বিষয়ে একটি অভিযোগ মহেশপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে জমা দিয়েছেন। তথ্য নিয়ে জানা গেছে শোকজ নোটিশ পাওয়ার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষকগণ যে জবাব দিচ্ছেন তার সঙ্গে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে সংযুক্ত করছেন। ফলে ঐ টাকায় তারা কি কাজ করেছেন তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে না। জবাবদিহিতা না থাকায় প্রতি বছরই স্লিপ প্রকল্পের লাখ লাখ টাকা নয় ছয় করা হয় বলে অভিযোগ। ঝিনাইদহ জেলা প্রথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শেখ মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, আগে তো জবাবদিহিতা ছিল না। এখন হিসাব নেয়া হচ্ছে। এটা একটা নজির বলা যায়। তিনি বলেন কোনো প্রধান শিক্ষক বা কমিটি প্রধান এই স্লিপের টাকার দালিলিক প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে ডিডি খুলনাকে চিঠি দেয়া হবে। কারো ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন এখনো যদি কোনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা স্কুল সভাপতির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর