× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দৌলতপুরে শিশুকে পুড়িয়ে হত্যা

বাংলারজমিন

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার আখি আক্তার নামের এক শিশুকে জেলার দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকায় দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। গত শনিবার রাতে দৌলতপুর উপজেলার চকমিরপুর এলাকায় গভীর নলকূপের পরিত্যক্ত পাকা ঘর থেকে অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। আখির মা সেলিনা বেগম মানিকগঞ্জ হাসপাতালে মেয়ের পরনের জামাকাপড় দেখে তাকে শনাক্ত করেন। আগুনে পোড়া শিশুটির বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দরগ্রাম ইউনিয়নের তেবাড়িয়া গ্রামে। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আখির খালা রেবেকা জানান, আখির জন্মের আগেই তার বাবা আবুল হোসেন মারা যান। এরপর থেকে মা সেলিনা বেগমের সঙ্গে নানা বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার দিঘুলিয়া গ্রামে থাকতেন। সে একটি মাদরাসায় লেখাপড়া করে।
সেলিনা বেগম তার আরো দুই বোনের সঙ্গে সাভারের হেমায়েতপুরে একটি পোশাক কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। সেখানেই ভাড়া বাসায় থাকেন। কয়েকদিন আগে আখিকে নিজের কাছে এনে রেখেছিলেন সেলিনা। গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে দিঘুলিয়ার উদ্দেশ্যে আখিকে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে তুলে দেয়া হয়। সেলিনার এক বোন জামাই শাহাদৎ আখিকে বাসে তুলে দেন। কিন্তু এরপর থেকে আখি নিখোঁজ ছিল। দৌলতপুরে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে তারা গত সোমবার বিকালে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাাতাল মর্গে এসে আখিকে দেখে লাশ শনাক্ত করেন। তার আগে শনিবার (২০শে অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে চকমিরপুর এলাকার একটি ডিপ টিওবওয়েলের পরিত্যক্ত পাকা ঘর থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। জানা গেছে, উপজেলার চকমিরপুর এলাকায় স্থানীয় লোকজন ডিপ টিওবওয়েলের পরিত্যক্ত পাকা ঘরের মেঝেতে অজ্ঞাত কিশোরীর আগুনে পোড়া লাশ দেখতে পায়। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের শরীরের ৮০ ভাগ ঝলসানো ছিল। এ ঘটনায় শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার কর্মকার জানান, গত সোমবার বিকালে পোশাক এবং মুখমণ্ডলের আকৃতি দেখে আখিকে শনাক্ত করেছেন তার মা। মায়ের কাছে আখির লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন আঁখি হত্যার বিষয়টি তদন্ত চলছে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর