জাতীয় লীগের চতুর্থ রাউন্ডে রংপুরের পর বরিশালের প্রথম ইনিংসও থামে ১৪৭ রানে। আর দুই দলের হয়ে পাঁচ উইকেটের ঝলক দেখান সোহাগ গাজী ও পেসার শুভাশিষ রায়। অন্যদিকে, অলরাউন্ড নৈপুণ্য ধরে রাখলেন খুলনার সৌম্য সরকার। আগের রাউন্ডে দুই ফিফটির পাশাপাশি ইনিংসে পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়েন তিনি। গতকাল রংপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুভাশিষদের বোলিং নৈপুণ্যে লিড নিতে পারেনি বরিশাল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭/৩ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে স্বাগতিকরা। মাহমুদুল হাসান ২৭ ও সোহরাওয়ার্দী শুভ ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনটি উইকেটই নেন বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন।
এর আগে ৩৫/২ সংগ্রহ নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বরিশাল। প্রথম দিনেই দুই উইকেট নেন শুভাশিষ। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন ওপেনার রাফসান আল মাহমুদ। প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে খুলনার চেয়ে ১০৭ রানে পিছিয়ে রাজশাহী। ২০২/৫ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে তারা। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন সাব্বির রহমান। মিজানুর রহমান ৪৩, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৪৭ ও ফরহাদ হোসেন ৫৬ রান করেন। দুইটি করে উইকেট নেন আল আমিন হোসেন ও সৌম্য সরকার। এর আগে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ২৮১/৭ সংগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করে স্বাগতিকরা। ৪৩ রানে আউট হন জিয়াউর রহমান। প্রথম দিনে অর্ধশতক করেন এনামুল হক বিজয় (৫৬), সৌম্য (৬৬) ও তুষার ইমরান (৭১)। তিনটি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, ফরহাদ রেজা ও সানজামুল ইসলাম। কক্সবাজারে নাঈম হাসানের আট উইকেটের কীর্তিতেও পিছিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগ। ঢাকা বিভাগের ২৮৮ রানের জবাবে চট্টগ্রামের সংগ্রহ ২২৩/৮। রানআউট হন অধিনায়ক ইয়াসির আলী (৬০)। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন বল হাতে কীর্তি গড়া তরুণ অফস্পিনার নাঈম। ফতুল্লায় সিলেটের ৩১২ রানের জবাবে মেট্রোর সংগ্রহ ২৬৭/৮। অর্ধশতক করেন শামসুর রহমান (৬৩) ও অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব (৭৪)। ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন জাবিদ হোসেন। চার উইকেট নেন সিলেটের পেসার খালেদ আহমেদ।