নারী ফুটবলারদের সামনে আরেকটি কঠিন পরীক্ষা। এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল বাছাই পর্বে এই কঠিন পরীক্ষায় আজ দক্ষিণ কোরিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবের পামির স্টেডিয়ামে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় দুপুর তিনটায়। ‘ডি’ গ্রুপে ২৬শে অক্টোবর চাইনিজ তাইপে ও ২৮শে অক্টোবর তাজিকিস্তানের সঙ্গে লড়াই করবে সানজিদা-মৌসুমীরা।
এটা বাছাই পর্বের প্রথম রাউন্ড। ছয় গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন ও সেরা দুই রানার্স-আপ দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় রাউন্ডের সেরা চার দল খেলবে মূল পর্বে। আগামী বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মূলপর্বে সরাসরি অংশ নেবে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন জাপান, রানার্স-আপ উত্তর কোরিয়া, তৃতীয় চীন এবং স্বাগতিক থাইল্যান্ড। দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে ম্যাচের আগে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘এখানে আমাদের প্রথম ম্যাচে কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া শক্তিশালী দল। তারা নারী ফুটবলে দীর্ঘদিন ধরে রাজত্ব করছে। তবে মেয়েরা সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে আমাদের পক্ষে ইতিবাচক ফল করা সম্ভব।’ নিজেদের প্রস্তুতি নিয়ে ছোটন বলেন, আমরা দীর্ঘ প্রায় একবছর ধরে একসঙ্গে অনুশীলন করছি। মাঝে বেশ কয়েকটি টুর্নামেন্ট খেলেছে মেয়েরা। এই মেয়েরাই সপ্তাহ দু’য়েক আগে সাফ অনূর্ধ্ব-১৮ চ্যাম্পিয়নশিপে অরাজিত শিরোপা জিতেছে। আশা করছি সাফ চ্যম্পিয়নশিপের অভিজ্ঞতা এখানে কাজে আসবে। অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করবো। পরের দুই ম্যাচে মাঠে নামবো জয়ের লক্ষ্যে। চাইনিজ তাইপে আর তাজিকিস্তানকে হারাতে পারলে পরের রাউন্ডে যাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা।’ দক্ষিণ  কোরিয়ার সঙ্গে এখন পর্যন্ত একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। গত বছর এএফসি অনূর্ধ্ব-১৬ চ্যাম্পিয়নশিপে চূড়ান্ত পর্বের ওই ম্যাচে ছয় গোলে  হেরেছিল মেয়েরা। তারপরেও সাম্প্রতিক পারফরমেন্সের কারণে বাংলাদেশকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচের আগে দলটির হেড কোচ হাট জং জু বলেন, নারী ফুটবল বাংলাদেশ ইতিবাচক উন্নতি করেছে। বাংলাদেশ এই দলটির সম্পর্কে আমার সামান্য ধারণা আছে। এটি অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সী একটি দল। সম্প্রতি সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা এখানে এসেছে। আমার মনে হয়নি আগামীকাল (আজ) একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ হবে।