ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে সরাসরি মুখ খুললেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। আর নিজের বিরুদ্ধে এমন জঘন্য অপবাদ নিয়ে মোটেও বিচলিত নন পর্তুগিজ সুপারস্টার। যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৯ সালে সাবেক মার্কিন মডেল ক্যাথরিন মায়োরগাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে রোনালদোর বিরুদ্ধে। এটি নিয়ে তদন্ত করছে লাস ভেগাস পুলিশ। শুরু থেকেই এসব অস্বীকার করে আসছেন রোনালদো। এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ষণের তদন্ত নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন জুভেন্টাস ফরোয়ার্ড। রোনালদো বলেন, ‘সত্যটা সবসময়ই প্রথম অবস্থানে থাকে। আমি সুখী মানুষ।
এই পরিস্থিতি নিয়ে মিথ্যা বলবো না। আমি এবং আমার আইনজীবীরা আত্মবিশ্বাসী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি ফুটবল, আমার জীবনটা উপভোগ করছি। এর বাইরে আমার যত্ন নিতে পরিবার রয়েছে। আমি ভালো করেই জানি, মাঠ ও মাঠের বাইরে অনেকের কাছেই আমি উদাহরণ। চমৎকার ক্লাব, চমৎকার পরিবার, সন্তান, সুসাস্থ্য নিয়ে আমি নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। আমার সবকিছুই রয়েছে। এর বাইরে কোনো কিছু আমার সঙ্গে জড়াতে পারে না। আমি খুব ভালো আছি।’ এর আগে টুইটারে একটি বিবৃতি দেন রোনালদো। ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে লেখেন, এটি একটি ঘৃণ্য অপরাধ। গত বছর ধর্ষণের বিষয়টি নিয়ে প্রথম প্রতিবেদন ছাপায় জার্মান সংবাদমাধ্যম ‘ডার স্পিগেল’। সম্প্রতি মায়োরগার সঙ্গে ২০১০ সালে হওয়া গোপন সমঝোতা চুক্তিপত্র প্রকাশ করে তারা। তবে রোনালদোর আইনজীবী পিটার ক্রিস্টিয়ানসেন এটিকে ভিত্তিহীন ও নকল হিসেবে আখ্যায়িত করেন। যদিও চুক্তিপত্রের বিষয়টি অস্বীকার করেননি তিনি। ক্রিস্টিয়ানসেনের দাবি, লাস ভেগাসের হোটেলে রোনালদো ও মায়োরগার সঙ্গে যা কিছু হয়েছে দুইজনের পারস্পরিক সম্মতিতেই হয়েছে। কোনো প্রকার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি। বলা হয়, নিজের সুনাম রক্ষার্থে এমন অপবাদ জনসম্মুখে না আনার শর্তে চুক্তিপত্রে সই করেন রোনালদো। সে সময় রিয়াল মাদ্রিদের চাপে রোনালদো বাধ্য হয়ে চুক্তিপত্রে সই করেন বলে সম্প্রতি খবর প্রকাশ করে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম ‘কোরেইয়ো ডা মানহা’। তবে এটি অস্বীকার করে পত্রিকাটির বিরুদ্ধে মানহানির মামলার হুমকি দেয় রোনালদোর সাবেক ক্লাব।