২০০৭ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক তামিম ইকবালের। এরপর থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন ১৮৩ ম্যাচ। তবে চট্টগ্রামে টেস্ট হোক আর ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি তামিম মানে অন্যরকম উত্তেজনা। কারণ ঘরের ছেলে বলে কথা। অভিষেকের পর ১৪ ম্যাচের সবক’টিতে দলে ছিলেন তামিম। তবে এবার হচ্ছে ব্যতিক্রম। ইনজুরির কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে নেই দেশসেরা এই ওপেনার। ঘরের মাঠে খান পরিবারের প্রতিভাবান এই ক্রিকেটারকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে মিস করবে চট্টগ্রামবাসী।
তাকে মিস করছেন চাচা আকরাম খানও। জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এখন বিসিবি’র ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান। গতকাল চট্টগ্রামে আকরাম খান জানান, খেলতে না পারায় তামিমেরও মন খারাপ। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপ থেকেই ও (তামিম) বেশ আফসেট। কারণ ফর্মে থাকা একজন ক্রিকেটার যখন ইনজুরির কারণে খেলতে পারে না স্বাভাবিকভাবেই তার ভালো লাগার কথা নয়। যে কারণে ওর বেশ মন খারাপ আছে।’
এশিয়া কাপে তামিম গিয়েছিলেন ইনজুরি নিয়ে। সেখানে একটি ম্যাচ খেলেই তিনি দল থেকে ছিটকে পড়েন। তার মাঠে ফিরতে আরো দুই মাস লাগবে বলেই জানা গেছে। আজ ও পরশু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ দু’টি ম্যাচ হচ্ছে চট্টগ্রামেই। এরপর এখানে নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলবে টেস্ট ম্যাচ। বলার অপেক্ষা রাখে না সেখানেও খেলা হচ্ছে না দেশসেরা এই ওপেনারের। এ সময়ে চট্টলার লোকাল বয়কে কত মিস করে এখনকার দর্শকরা তা নিয়ে আকরাম বলেন, ‘ওকে মিসতো আমরা করবোই। তবে আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। কারণ যদি এই ইনজুরি বিশ্বকাপের সময় হতো তাহলে তো আরো খারাপ ছিল আমাদের জন্য। এখন আশা করছি ও দ্রুত মাঠে ফিরে আসবে।’
অন্যদিকে চট্টগ্রামে নিজের ঘরের মাঠে তামিম দর্শকদের বড় বেশি সুখ দিতে পারেননি। যদিও তার এখানে খেলা ১৪ ওয়ানডের ৯টিতে জয় পেয়েছে দল। কিন্তু সেখানে তার ব্যাট থেকে আসেনি একটি সেঞ্চুরিও। সর্বোচ্চ ৯৫ রানের ইনিংসটি খেলেছিলেন ২০১৪-তে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। সেই বছরই এ মাঠে অবশ্য একটি সেঞ্চুরি দেখা পেয়েছিলেন। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১০৯ রানের একটি ইনিংস। তবে গেল দুইবছর ধরে দারুণ ফর্মে থাকা তামিম এবার ইনজুরির কারণেই খেলতে পারলেননা নিজের ঘরের মাঠে। তাই ফর্মে থেকে দর্শকদের ব্যাটে বিনোদন দিতে পারছেন না। ॥