× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দল নিয়ে নানা পরিকল্পনা মাশরাফির

খেলা

ইশতিয়াক পারভেজ, চট্টগ্রাম থেকে
২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

টুকটাক ইনজুরি আছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার। রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়েও আছে শঙ্কা। প্রথম ম্যাচে ১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর ইমরুল ও সাইফউদ্দিন হাল ধরায় রক্ষা হলেও ব্যাটিং নিয়ে ভাবতে হচ্ছে টাইগার অধিনায়ককে। আজ সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে কাকে রেখে কাকে খেলাবেন সেটিও ভাবতে হচ্ছে মাশরাফিকে। অভিষেকে ব্যর্থ ফজলে মাহমুদ রাব্বিকে আবার সুযোগ দেয়া হবে না কি- তার পরিবর্তে আসবে অন্য কেউ! গতকাল চট্টগ্রামের সাগরিকা স্টেডিয়ামে এমনই ‘সাগরসম’ চিন্তার কথা জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। শুরুতে দল নিয়ে অধিনায়ক বলেন, ‘বলা এখনো কঠিন। দুজন ক্রিকেটার এখনো বাইরে আছে। শান্ত (নাজমুল হোসেন) ও আরিফ (আরিফুল হক) বাইরে আছে।
রনিও আছে। সিরিজ ডিসাইডিং ম্যাচ। হুট করে দলে থাকাদের সরিয়ে দেয়া কঠিন। ওভারঅল কোচ, নির্বাচক, উনাদের ভিউ কি সেটা আলোচনার ব্যাপার আছে? এখনো ২৪ ঘণ্টা সময় আছে। আলোচনা হয়তো অনুশীলনের পর কিংবা সন্ধ্যার পর হতে পারে। এখনই আসলে বলা কঠিন।’
অভিষেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে কিন্তু শূন্য রানে আউট হন ফজলে রাব্বি। গুঞ্জন ছিল তাকে হয়তো দ্বিতীয় ম্যাচে দেখা যাবে না। কিন্তু অধিনায়ক নিজেই রাব্বির হয়ে ওকালতির দায়িত্ব নিলেন। তিনি বলেন, ‘রাব্বি দুর্ভাগ্যজনক আউট হয়েছে। উইকেট ওপাশ থেকে আনইভেন ছিল। একটা বল ক্লিক করাতে হয়তো এমন হয়েছে। আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ। ১৯-২০ হলে ওর জন্য কঠিন। মানসিক চাপও থাকে। এটা বড় কোনো ইস্যু নয়। ব্যক্তিগতভাবে আমি অবশ্যই মনে করি আরেকটি সুযোগ পাওয়া উচিত। একটা ম্যাচ দিয়ে বিচার করা কঠিন। তবে, কিছুটা স্বস্তিও পেয়েছেন পেস অলরাউন্ডার সাইফউদ্দিনের ব্যাটিং দেখে। জাতীয় দলে এই তরুণের পারফরমেন্স শুধু মাশরাফির জন্যই নয় টিম ম্যানেজমেন্টের জন্যও স্বস্তির। মাশরাফি বলেন, ‘সাইফউদ্দিনকে দেখেন, ওকে যে কারণে নেয়া হয়েছে। আমরা দুই জায়গায় পিছিয়ে ছিলাম একটা পেস বোলিং অলরাউন্ডার এবং রিস্ট স্পিনার। ও যদি এভাবে খেলতে পারে তাহলে আমরা রি-কভার করতে পারব। আমরা তাহলে এক স্টেপ উপরে যাওয়ার সুযোগ পাব।’
এছাড়াও এশিয়া কাপের ফাইনালে লিটন কুমার দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ ব্যাটিংয়ে ১২০ রানের জুটি পেয়েছিল দল। কিন্তু সেখান থেকে ১০০ রান যোগ করতে বাকি সবকটি উইকেট হারায় টাইগাররা। টাইগারদের এ পুরনো রোগ থেকে মুক্তি মেলেনি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও। তবে, এতে খুব বেশি চিন্তিত নয় অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘দেখেন দুদিকে চিন্তা করতে হবে। বরং আমি আমার দিক থেকে খুশি হয়েছি যে সাইফউদ্দিনের রান করাটা। এই পজিশনগুলো দেখা। অনেক সময় যেটা হয় অন্যান্য দলে, টপ অর্ডারে রান হলে মিডল অর্ডারে এক্সপোজ হয় না। আমাদের ক্ষেত্রে লেট মিডল অর্ডারও এক্সপোজ হয়ে যায়। এবার সেখান থেকে ফিরে আসতে পেরেছি। এটা কিন্তু আমাদের উপরে যেতে সহায়তা করবে। সব সময় যদি আপনি মুশফিক-রিয়াদ পর্যন্ত গিয়ে খেলা শেষ করেন এবং বড় স্টেজে গিয়ে যখন এটা হবে না তখন কিন্তু টিম ডাউন হয়ে যায়। এটা একদিক থেকে ভালো। তবে, এক জায়গায় আমি উদ্বিগ্ন যে একজন একশ করছে তাকে যে অন্য কেউ হেল্প করছে না।’
অন্যদিকে, মোস্তাফিজ প্রথম ম্যাচে নির্ধারিত ১০ ওভার বল করতে পারেনি। মূলত ব্যথার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে জানালেন অধিনায়ক। সেই সঙ্গে জানান রুবেল তার নিজের ইনজুরির কথাও। তিনি বলেন, ‘কোটা ফুল করার চেয়ে ম্যাচ জেতা গুরুত্বপূর্ণ। দ্বিতীয়ত, ওর শরীরটা খারাপ ছিল। কনুইতে একটু ব্যথা আছে। যদিও আজ বোলিংও করেছে। একটু পর ফিজিও রিপোর্টও দেবে। রুবেলের জ্বর ছিল। ও এখন পুরো রান আপে বল করেছে। আর আমার একটু সময়ের দরকার। আমি হয়তো ব্রেকে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমি তো একটা ফরম্যাটই খেলি। এটার পর চার-পাঁচ সপ্তাহের মতো ব্রেক আছে। কিছুটা ট্রিটমেন্টের দরকার। আশা করি ফিটনেসের কাজ ঠিকঠাক মতো করলে ভালো হবে।  

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর