× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রামগঞ্জে টিআর ও কাবিখা ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে উত্তেজনা

বাংলারজমিন

রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
২৪ অক্টোবর ২০১৮, বুধবার

 লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ম ধাপে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অধীনে টেস্ট রিলিফ (টিআর-কাবিখা) কর্মসূচির ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার প্রকল্পের ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব ও স্থানীয় সংসদ সদস্য লায়ন এমএ আওয়ালের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের বিরোধ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সূত্র জানায়, দশম জাতীয় সংসদ নিবাচনে জোট থেকে আওয়ামী লীগের প্রচেষ্টায় নৌকা মার্কা প্রতীক নিয়ে নেতাকর্মীবিহীন তৎকালীন তরীকত ফেডারেশনের মহাসচিব লায়ন এমএ আওয়াল এমপি নির্বাচিত হন। তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রায় ৫ বছর টিয়ার-কাবিখাসহ সকল সুবিধা থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঞ্চিত হয়েছেন। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১ম ধাপে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অধীনে টেস্ট রিলিফের (কাবিখা ও টিআর এবং সোলার) কর্মসূচির ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার বরাদ্দ এলে গত এক সপ্তাহ থেকে ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ঢাকাস্থ এমপি লায়ন এমএ আওয়ালের অফিসে বৈঠক হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে ১০ জন ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ৮টি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ১৫,৮৪,০০০ টাকায় ১০টি টিআর, ৪টি কাবিখা, ৩০টি সোলারের বরাদ্দ  দেয়।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সৈকত মাহমুদ সামসু ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান শুভ জানান, গত ৫ বছরে টিয়ার-কাবিখাসহ সকল সুবিধা এমপি মহোদয় এককভাবে আত্মসাৎ করেছেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. আনোয়ার হোসেন খানের সহযোগিতা না পেলে আমরা জাতীয় প্রোগ্রামগুলোও ঠিকমতো করতে পারতাম না।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম রুহুল আমিন  জানান, টিআর-কাবিখা প্রকল্প নিয়ে ঢাকাস্থ এমপি মহোদয়ের অফিসে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ আটটি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের জন্য ১০টি টিয়ার, ৪টি কাবিখা, ৩০টি সোলার বরাদ্দ দেয়। এ সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়।
তবে এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য লায়ন এমএ আওয়াল জানান, এখনো তালিকাই হয়নি বণ্টনের প্রশ্নতো অনেক দূরের কথা। বিগত দিনগুলোতে আমি প্রত্যেকটি প্রকল্পের ৬০ভাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতির মাধ্যমে দিয়ে থাকি। উনারা নিজেদের নেতাকর্মীদের মাঝে তা কিভাবে কি করেছে, তা আমার জানা নেই। বর্তমান রামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে কোন ঐক্য নেই। উনাদের মধ্যে অনৈক্য থাকায় আমি বার বার বলার পরও আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীই আমার সঙ্গে দেখা করেনি। এছাড়া এখন নির্বাচনের বছর, টিআর কাবিখা প্রকল্প নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমার ব্যক্তিগত ইমেজ ক্ষুণ্ন্ন করার জন্যই এখন টিআর কাবিখা প্রকল্প নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর