× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় বৈষম্য দূর করতে প্রশাসনকে উকিল নোটিশ

শিক্ষাঙ্গন

জাবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২৪, ২০১৮, বুধবার, ৮:৪২ পূর্বাহ্ন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে বলে দাবি করে আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে এই বৈষম্য নিরসন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে উকিল নোটিশ দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন ২০শে অক্টোবর এ নোটিশ দেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সভাপতি, রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিনকে জবাব দিলে বলা হয়েছে।

নোটিশে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় সি ইউনিটে (কলা ও মানবিকী অনুষদ) মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই ইউনিটে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো মানবিক অথবা বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থী হিসেবে গণ্য না করে ‘মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল’ আলাদা ক্যাটাগরিতে ধরে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। আর মোট ৩৩৭টি সিটের মধ্যে তাদের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ১৩টি।

নোটিশে এই ফলাফলকে বেআইনী, অযৌক্তিক ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার অন্তরায় বলে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়, ন্যাশনাল কারিক্যুলাম এন্ড টেক্সবুক (এনসিটিবি) দ্বারা প্রণীত সিলেবাস ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে বাংলা ও ইংরেজিতে ২০০ নম্বরের কোর্স পড়ার পরেও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের জন্য কম সিট বরাদ্দ করে অন্য ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদ ও ইনস্টিটিউটের অন্য কোন অনুষদ এমন করেনি। তাছড়া বাংলাদেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন বৈষম্য করা হয়না।’

নোটিশে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের ‘মানবিক’ অথবা ‘বিজ্ঞান’ বিভাগের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ফলাফল প্রকাশ করতে আগামী ২৫শে অক্টোবরের মধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়। না হলে পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়।
ভর্তিচ্ছু ছয় শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ নোটিশ দিয়েছে তাদের আইনজীবী।

তবে বুধবার পর্যন্ত এ নোটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ হাতে পায়নি বলে জানান রেজিস্ট্রার ও কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. মোজাম্মেল হক।

এ বিষয়ে জানতে এ্যাডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান উদ্দিন মানবজমিনকে বলেন, সি ইউনিটে যে বৈষম্য করা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বাংলাদেশের সংবিধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯৭৩ এ্যাক্ট এর লঙ্ঘন করেছে।
তাই আমরা ২৫ তারিখের মধ্যে এটি সমাধান করতে নোটিশ দিয়েছে। এর মধ্যে তারা বৈষম্য নিরসন না করলে আমরা হাইকোর্টে রিট করবো।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর