× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিবিআই নিয়ে ভারতে নাটকের পর নাটক

ভারত

কলকাতা প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) অক্টোবর ২৫, ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

ভারতের অন্যতম প্রধান তদন্ত সংস্থা সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ আধিকারিকের লড়াই থামাতে নাটকীয়ভাবে মঙ্গরবার মধ্যরাতের পর তৎপরতার সঙ্গে দুই যুযুধান আধিকারিককে বাধ্যতামূলকভাবে ছুটিতে পাঠানোর ঘটনাকে অনেকে ক্যু হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকে একে বলেছেন, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক। সিবিআইয়ের নতুন অর্ন্তবর্তীকালিন ডিরেক্টর করা হয়েছে নাগেশ্বর রাওকে। তিনি মধ্যরাতে দায়িত্ব নিয়েই ১৪ জন অফিসারকে ছুটিতে নয়তো বদলি করেছেন। যাদের বদলি করা হয়েছে তারা সকলেই মোদির আস্থাভাজন বিশেস ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করছিলেন।

সরকারের হয়ে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি সাফাই দিয়েছেন, সংস্থার সাংগঠনিরক সংহতি বজায় রাখার স্বার্থেই ডিরেক্টর আলোক ভার্মা ও বিশেষ ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানাকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেছেন, চলমান তদন্তগুলির কাজ দেখবে ভিজিল্যান্স কমিশন। তবে জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর অভিযোগ এনে সুপ্রিম কোটের দ্বারস্থ হয়েছেন ডিরেক্টর আলোক ভার্মা। শুক্রবার তার শুনানী হবে। সকলের দৃষ্টি আদালতের পর্যবেক্ষণের দিকে।

এরই মাঝে বৃহষ্পতিবার এক নাটকীয় ঘটনা ঘটে।
বৃহষ্পতিবার সকালে ‘ছুটিতে পাঠানো’ সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মার বাড়ির উপর নজরদারির অভিযোগ উঠেছে। বাড়ির সামনে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখা যায় বেশ কয়েক জনকে। তাঁর বাড়ির সামনে উঁকিঝুঁকি মারছিলেন তারা। এর পরই বাইরে বেরিয়ে আসেন অলোক ভার্মার নিরাপত্তারক্ষীরা। চার সন্দেহভাজনকে আটক করে খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পরে জানা যায় ধৃত ৪জনই ইনটেলিজেন্স ব্যুরো আইবি এর গোয়েন্দা। নজরদারি চালাতেই তাদের পাঠানো হয়েছিল।

সিবিআইকে নিয়ে মোদি সরকারের অস্বস্তি বেড়েই চলেছে। জেটলি স্বীকার করেছেন, সিবিআইয়ের এই বিতর্ক দুর্ভাগ্যজনক। এদিকে সরকারকে একযোগে তীব্র সমালোচনায় বিদ্ধ করেছে দেশের সবকটি রাজনৈতিক দল। সিবিআই ডিরেক্টর অলোক ভার্মাকে ছুটিতে পাঠানোর পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি দেখতে পাচ্ছে বিরোধীরা।
তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছেন, সিবিআই এখন বিবিআই অর্থাৎ বিজেপি ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। কংগ্রেস এর সঙ্গে বিতর্কিত  রাফাল ক্রয় চুক্তির যোগও টেনে এনেছে। এই পরিস্থিতিতে অলোক বর্মার বাড়ির সামনে নজরদারির ঘটনা প্রমাণিত হলে নিশ্চিত ভাবেই তা পুরো ঘটনায় অন্য মাত্রা যোগ করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর