ভারত সরকার এখন থেকে গরুকে চিহ্নিত করতে বারকোড লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গরুর কানে লাগানো হবে এই বারকোড। আমৃত্যু গরুর কানে লাগানো থাকবে এই বারকোড। আর এই বারকোডের সাহায্যেই গরুর সব দেখভালের খবর রাখা হবে। সম্প্রতি কৃত্রিম প্রজননের তথ্যপঞ্জির সঙ্গে এই বারকোড তথা নম্বর প্রদান কর্মসূচি যুক্ত করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রাণিসম্পদ বিকাশ মন্ত্রক। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গেও গরুদের এই বারকোড দেবার কাজ শুরু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ গোসম্পদ বিকাশ সংস্থার তত্ত্বাবধানে এই কাজ চলছে। রাজ্যের প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের এক কর্তা জানিয়েছেন, কৃত্রিম প্রজননের জন্য যেসব গরু চিহ্নিত হয়, তাদের এই বারকোডযুক্ত নম্বর দেয়া হচ্ছে।
ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই কাজ হচ্ছে বলে এত হইচই। রাজ্যজুড়ে ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রাণী শুমারিও শুরু হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আগেও কৃত্রিম প্রজনন হওয়ার পর গরুর কান ফুটিয়ে ট্যাগ লাগানো হতো। তবে তাতে নম্বর থাকত না। সেই পদ্ধতি এখন আধুনিক হয়েছে। কৃত্রিম পদ্ধতিতে গরুর দেহে বীর্যপ্রবেশ করানোর পর ওই গরুর কী হলো, তা দেখার কোনো ব্যবস্থা আগে ছিল না। এখন তা দেখা হচ্ছে। কৃত্রিম প্রজননের পর গরুর কানে একটি বারকোড যুক্ত কার্ড পরিয়ে দেয়া হচ্ছে। সেই তথ্য চলে যাচ্ছে রাজ্য এবং দিল্লির কেন্দ্রীয় সার্ভারে। ২১ দিনের মাথায় ওই গরুর কথা জানতে চেয়ে মেসেজ আসে প্রজনন প্রকল্পের কর্মী বা চিকিৎসকের কাছে। জানতে চাওয়া হয়, প্রজনন সফল কি না। তিন মাস পর আবার একটি মেসেজ পাঠায় কেন্দ্রীয় সার্ভার। জানতে চাওয়া হয়, গরুটি গর্ভবতী হয়েছে কি না। ২৭৫ দিন পর শেষ মেসেজে জানতে চাওয়া হয়, বাচ্চা জন্মালো কি না, জন্মালে তা এঁড়ে না বকনা। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তর সূত্রে বলা হয়েছে, আগে কৃত্রিম প্রজনন প্রক্রিয়ার পর সেভাবে ফলোআপ হতো না। এখন বারকোড দিয়ে চিহ্নিতকরণের ফলে তা সম্ভব হচ্ছে।