× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ভর্তি পরীক্ষায় নিয়ন্ত্রহীন হল

শিক্ষাঙ্গন

ইবি প্রতিনিধি
(৫ বছর আগে) নভেম্বর ৪, ২০১৮, রবিবার, ৫:২৭ পূর্বাহ্ন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় মানা হচ্ছে না কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত। ৮০/৯০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য মাত্র ২জন শিক্ষককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এতে পরীক্ষার হল কার্যত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। পরিদর্শক স্বল্পতায় প্রক্সি, জালিয়াতিসহ নানা অনিয়ম করার সুযোগ পাচ্ছে পরীক্ষার্থীরা। এছাড়া পরিদর্শক সংকট, প্রশ্ন ঘাটতি, অবাধ বিচরণসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষকরা।

সূত্র মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতি ২০ পরীক্ষার্থীর জন্য ১জন করে শিক্ষক পরিদর্শক হিসেবে থাকার কথা। এবছর থেকে পরীক্ষায় কর্মকর্তাদের পরিদর্শক হিসেবে রাখানি প্রশাসন। এনিয়ে কর্মকর্তারা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এদিকে শিক্ষকদের অভিযোগ ৪০-৬০ জন শিক্ষার্থীর জন্য ১জন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছে প্রশাসন।
এতে পরীক্ষার ১ঘণ্টায় সব কাজ সম্পন্ন করতে হিমশিম খাচ্ছেন পরিদর্শকরা। ওএমআর ও প্রশ্ন সরবরাহ, স্বাক্ষর গ্রহণ, লিখিত উত্তরপত্র ছিড়ে আলাদা করে পৃথকভাবে রাখা ও প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে সিরিয়ালি সাজাতে নাভিশ্বাস উঠছে তাদের। এছাড়া মাত্র ২/৩ জন শিক্ষক থাকায় জালিয়াতির শঙ্কা রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার মত এত গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে ধর্মতত্ব অনুষদভূক্ত এ ইউনিটের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে একটি কেন্দ্রে যথা সময়ে ওএমআর ও প্রশ্ন সরবরাহ করতে পারেনি সমন্বয়কারীরা। বেলা সাড়ে ১১টায় বি ইউনিটের ১ম শিফট পরীক্ষায় মীর মশাররফ হোসেন ভবনের  ২৪০, ৩১৬, ৩১৭, ৩৩৭সহ ৭/৮টি কক্ষে প্রশ্ন ঘাটতি পড়ে। এতে ১৬ মিনিট পর অনুষদ ভবন থেকে প্রশ্ন সরবরাহ করে সমন্বয়কারী কমিটি। পরীক্ষার্থীরা সেট কোড পূরণ করে ফেললে বাড়তি ঝামেলার সম্মূখীন হন শিক্ষক-পরীক্ষার্থীরা।

বিভিন্ন ভবনের একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করে বলেন, ‘পরীক্ষার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। আমাদের কাজের চাপের কারণে পরীক্ষার্থীরা অসদুপায় অবলম্বনের সুযোগ পচ্ছে। খামখেয়ালিভাবে প্রশাসন আমাদের দিয়ে এভাবে কাজ করিয়ে নিচ্ছে। এভাবে স্বল্প শিক্ষকে কাজ করলে অসঙ্গতি হওয়া একদম স্বাভাবিক।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর