বিচ্ছিনতাকামী উলফা নেতা পরেশ বড়–য়া জীবিত না মৃত এই নিয়ে তোলাপাড় আসামের রাজনীতি। মঙ্গলবার বিভিন্ন অনলাইনের খবরে দেখা যায়, উলফা (স্বাধীনতা) প্রধান পরেশ বড়–য়ার চীন ও মায়ানমার সীমান্তের কাছে এক দুর্র্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। বুকের পাজরের গুরুতর আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অবশ্য আসামের সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানিয়েছে, পরেশ বড়ুয়া জীবিত রয়েছেন। তবে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি।
আলোচনাপন্থী উলফার নেতা অনুপ চেটিয়া বলেন, পরেশ বড়–য়ার মৃত্যু হয়নি। কিন্তু দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন। তিনি আরও জানান, চীন ও মায়ানমার সীমান্তের চৈনিক শহর রুইলির কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পরেশ।
আসাম পুলিশের শীর্ষ কর্তা পল্লব ভট্টাচার্য বলেন, নিষিদ্ধ উলফার প্রধান পরেশ বড়ুয়া গুরুতর জখম। তবে তার মৃত্যু কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
পরেশ বড়–য়া বেশ কিছুদিন ধরেই মায়ানমার ও চীনের সীমান্ত অঞ্চলে আত্মগোপন করে রয়েছেন। চীনের দিকে রুইলি শহর এবং মায়ানমারের টাগা শহরে তার আস্তানা রয়েছে।
তার সঙ্গে একটি বিশাল বাহিনীও রয়েছে বলে বিভিন্ন সময়ে গোয়েন্দারা জানিয়েছেন। আসামের রাজনীতি নিয়ে পরেশ বড়–য়া সব সময়ই সক্রিয় রয়েছেন। নাগরিকপঞ্জী সংক্রান্ত বিষয়ে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
তবে সম্প্রতি তিনসুকিয়ায় বাঙ্গালী নিধনে উলফার হাত রয়েছে বলে দাবি করা হলেও উলফার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয়।