বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে- এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহীর সমাবেশে বিএনপির বক্তব্য প্রসঙ্গে কাদের বলেন, “এটা নির্বাচনী আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। যে বক্তব্য গতকাল রাজশাহীতে তারা দিয়েছে, সেই বক্তব্য তফসিল ঘোষণার পর কেউ দিতে পারে না। গরম গরম ভাষণ, আন্দোলনের কর্মসূচি দেয়া নির্বাচনের আইন এবং আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে সকালে রাজধানীর জিপিও’র কাছে জিরো পয়েন্টে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে তার স্মৃতির প্রতি দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্র আরো একধাপ এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের এ অভিযাত্রায় অনেক ঝুঁকি রয়েছে। তবুও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা যে যাত্রা শুরু করেছেন তা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ যেকোনো ধরনের ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের গণতন্ত্রের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না। অনেক সংগ্রাম, ত্যাগ, জেল-জুলুম ও আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে অর্জন করতে হয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে এত হতাশা কেন তা আমরা জানি না। তবে তাদের এ হতাশার মধ্যেও আশার আলো রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়ে তাদের ঘোষণা আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
নির্বাচনে সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন নেই, নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে। এখন সব কিছুই নির্বাচন কমিশনের অধীনে চলে গেছে। ইসি নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আমরাও নির্বাচন কমিশনকে সর্বাত্মক সহায়তা করে যাবো। এর আগে ওবায়দুল কাদের দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ নূর হোসেনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন নাহার লাইলী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামনুন নাহার চাঁপা, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য আকতারুজ্জামান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।