× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাতীয় পার্টির সভায় নূর হোসেনকে নিয়ে কটাক্ষ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১১ নভেম্বর ২০১৮, রবিবার

এরশাদের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে শহীদ হওয়া নূর হোসেনকে দেশের ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ মনে করা হলেও এরশাদের দল জাতীয় পার্টির (জাপা) সভায় তাকে নিয়ে কটাক্ষ করেছেন পার্টির সিনিয়র কয়েক নেতা। বলা হয়, তথাকথিত, একজন অল্প শিক্ষিত, মূর্খ ও দরিদ্র টাইপের লোক নূর হোসেন। তাকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। অন্যদিকে যে স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রাণ  হারিয়েছেন নূর হোসেন, তাকেই বলা হলো ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র’। গতকাল জাপা চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে ‘গণতন্ত্র দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় নূর হোসেন ও এরশাদকে এভাবে উত্থাপন করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র নেতারা। ১০ই নভেম্বর শহীদ নূর হোসেন দিবসকে এরশাদের জাপা ‘গণতন্ত্র দিবস’ পালন করে আসছে।

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এরশাদের প্রেস অ্যান্ড পলিটিক্যাল সেক্রেটারি সুনীল শুভ রায় বলেন, তথাকথিত নূর হোসেন একজন অল্পশিক্ষিত, মূর্খ ও দরিদ্র টাইপের লোক। আর্টিস্ট দিয়ে তার বুকে-পিঠে স্লোগান লিখে, সাজিয়ে-গুছিয়ে নিয়ে আসা হয়। আমাদের পূজার সময় পাঁঠাকে গোসল করিয়ে, তেল-সিঁদুর মেখে, ঠাকুরের সামনে এনে বলি দেয়, ঠিক তেমনি।
প্রাণ যায় পাঁঠার, আর পুণ্য হয় আমার। তেমনি নূর হোসেনকে বলির পাঁঠা করা হয়েছিল। আর ফল ভোগ করে অন্যরা। নূর হোসেন গণতন্ত্রের জন্য আত্মহুতি দেননি। তাকে পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। সভায় পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা বলেন, প্রতিদিনই অগণতান্ত্রিকভাবে র‌্যাব, পুলিশ, অন্যরা মাদক প্রতিরোধের নামে, সন্ত্রাস দমনের নামে মানুষ মারছে।

তাতে গণতন্ত্রের কিছু হচ্ছে না। অথচ এক নূর হোসেনে গণতন্ত্র চলে গেল! এরশাদ হয়ে গেলেন স্বৈরাচার! তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করেননি। এরশাদকে তিনি গণতন্ত্রের মানসপুত্র হিসেবে আখ্যা দেন। জাপার কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে জাপা তখন আওয়ামী লীগের সঙ্গে মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করবে। আর নির্বাচনে না এলে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। জিএম কাদের বলেন, কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেই জাপা লেভেল প্লেইং ফিল্ড পায়নি। এ কারণে নির্বাচিত দলের অধীনেই আমরা নির্বাচন চাই। সব দল সুযোগ-সুবিধা পেলেও জাপার ক্ষেত্রে সেটা দেয়া হয়নি। বর্তমান সরকার যেদিন সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলে আইন তুলেছিল সেদিন আমরা পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলাম। আমরা মনে করি বর্তমান সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। তিনি বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় এরশাদ বিভিন্ন ভূমিকা রেখেছেন। মানুষের কাছে আমাদের সত্যিকারের ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। মানুষ না জেনে আমাদের নানাভাবে অপবাদ দেয়।

জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে সকল দল অংশ নিলেও একটি দল অংশ নেয়নি, তারা ২০১৪ সালের নির্বাচনও বর্জন করেছিল। এবারো নির্বাচনে আসবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, এরশাদের শাসনামলকে বিতর্কিত করতেই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নুর হোসেনকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, দুটি দল ২৭ বছর সরকার পরিচালনা করছে অথচ নুর হোসেন হত্যার বিচার কেউ করেনি।

ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম ফয়সাল চিশতীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন প্রেসডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা, সুনীল শুভ রায়, মুজিবুল হক চুন্নু, মশিউর রহমান রাঙ্গা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু প্রমুখ। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান সেন্টু, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, মেজর (অব.) আশরাফ উদ-দ্দৌলা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, এমএ তালহা, জহিরুল ইসলাম জহির, আলমগীর শিকদার লোটন, বাহাউদ্দিন আহম্মেদ বাবুল, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন, আমানত হোসেন, সরদার শাহজাহান, যুগ্ম-দপ্তর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর