শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলেন সাকিব আল হাসান। জানালেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হচ্ছেন না। এরআগে গতকাল দিনভর খবর ছিল প্রার্থী হওয়ার জন্য আজ আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করবেন দুই তারকা ক্রিকেটার বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও টেস্ট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আওয়ামী লীগের তরফ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। সাকিব আল হাসানও গণমাধ্যমকে একই কথা বলেন। কিন্তু রাতে কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার বিষয়টি জানান।
ওদিকে, গতকাল মাশরাফি মানবজমিনকে বলেন, ‘আসলে আমি এখনই কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। হ্যাঁ, দলের পক্ষ থেকে বলেছেÑ তারাই বলবেন। কাল (আজ) কী হবে সেটিও জানি না।
তবে আমি এ নিয়ে পরে কথা বলবো, এখনই নয়।’
গত ২৯শে মে পরিকল্পনামন্ত্রী আ.হ.ম. মোস্তফা কামাল ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসানের নির্বাচন করার বিষয়টি প্রকাশ করেন। নিজের নির্বাচনের বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মাশরাফি কখনোই সরাসরি কোনো কিছু বলতে রাজি হননি। গতকালও তিনি ছিলেন নীরব। তবে প্রধানমন্ত্রী তাকে অনুরোধ করলে তিনি না করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছিলেন তার ঘনিষ্ঠজনরা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পক্ষ থেকে ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও এই বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। এখনো খেলার মাঠে থাকা ক্রিকেটাররা রাজনীতিতে কীভাবে আসবেন সেই প্রশ্নের জবাবে আকরাম বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না। আমিও গতকাল সারাদিন শুনেছি সাকিব ও মাশরাফির বিষয়টি। কিন্তু ওদের সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনাসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক থেকে টুইটার- সর্বত্রই ছিল মাশরাফি ও সাকিবের নির্বাচনে অংশ নেয়া নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা। কেউ লিখেছেন ‘কেন সাকিব-মাশরাফিরা এমন নোংরা রাজনীতিতে আসছেন!’ আবার কেউ লিখেছেন ‘তাদের আগমনে রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা বাড়বে।’ তবে দেশের দুই সেরা ক্রিকেটারের এমনভাবে একটি দলের হয়ে রাজনীতিতে আসা বেশির ভাগ ক্রিকেটভক্তই মানতে পারছে না। বিশেষ করে ফেসবুকে এই নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই চলছে সমালোচনা। সেই সমালোচনা আরো তীব্র হয়েছে।
এ ছাড়া শেষ পর্যন্ত মাশরাফি ও সাকিব নির্বাচনে অংশ নিলে ও জিতে গেলে ক্রিকেট বিশ্বেও হয়ে থাকবে বিরল উদাহরণ। জাতীয় দলে ক্যারিয়ার সচল থাকা দুজন ক্রিকেটার তারা। ওয়ানডে দলে মাশরাফি অধিনায়ক ও সাকিব সহ-অধিনায়ক। অন্যদিকে সাকিব টেস্টের অধিনায়কও। তবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি আলোচনায় তা হলো ২০১৯ বিশ্বকাপ। যদি এই দুজন নির্বাচিত হন তাহলে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে দুজন ক্রিকেটারই নয়, খেলবেন দুজন সংসদ সদস্যও।