সাভারের আশুলিয়ায় বাবাকে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দিয়ে মেয়েকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চালক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি বাবা টহল পুলিশকে জানালে পুলিশ মরাগাঙ এলাকা থেকে নিহত জরিনার মরদেহ উদ্ধার করে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের আশুলিয়ার মরাগাঙ এলাকার রাস্তার পাশ থেকে নিহতের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে এ ঘটনায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বাসচালক ও সহযোগীদের এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি। নিহত জরিনা বেগম (৪৫) সিরাজগঞ্জের চৌহালী থানার খাস কাওলীয়া গ্রামের আকবর আলীর মেয়ে। মারধরের শিকার বাবা আকবর আলী জানান, ‘কয়েক দিন আগে তিনি ও তার মেয়ে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ যাওয়ার উদ্দেশ্যে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকা থেকে টাঙ্গাইলগামী একটি বাসে উঠেন বাবা ও মেয়ে।
তবে বাসটি টাঙ্গাইল না গিয়ে বিভিন্ন স্থান ঘুরে আবার আশুলিয়ার দিকে চলে আসে।
ঘটনার কারণ জানতে চাইলে বাসের হেলপার ও সুপারভাইজারসহ কয়েকজন আমাদের মারধর করে এবং মোবাইলফোন ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। এসময় চিৎকার করলে চলন্ত বাস থেকে আমাকে ফেলে দেয় তারা। আমি বিষয়টি টহল পুলিশকে জানালে তারা প্রায় দুই কিলোমিটার সামনে গিয়ে মরাগাঙ এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে মেয়ে জরিনা বেগমের মরদেহটি খুঁজে পেয়ে রাত ১টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিজন কুমার দাস বলেন, নিহত নারী কালো রঙের বোরকা পরিহিত ছিলেন। তার শরীরে কোনো ক্ষত না থাকলেও গলায় কালো দাগ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তাকে ফেলে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিহত নারীর বাবা আকবর আলী বৃদ্ধ হওয়ায় তার কাছ থেকে এব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে নিহতের বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।