চলমান কাজ সমাপ্ত করতে চান টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের সংসদ সদস্য হাছান ইমাম খান সোহেল হাজারী। এলাকাবাসীও চায় তার হাতেই সমাপ্ত হোক অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ। তাই নৌকার হাল ধরতে সোহেল হাজারী এখন উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে উঠান বৈঠক, সভা-সেমিনার ও দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে বিরামহীন গণসংযোগ করছেন। দৃঢ় সাংগঠনিক দক্ষতা ও ধারাবাহিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্বারা তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় ও শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোহেল হাজারী বলেন, আমি সপ্তাহের ৪-৫দিন ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এলাকায় সময়-অসময়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেই। মাথায় টুকরি নিয়ে নিজেই উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন করি। কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির মতো অসামাজিক কাজ প্রতিরোধে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি বলেন, দলীয় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক সুসংগঠিত।
রাস্তাঘাট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন, ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী পুনরায় আমাকে মনোনয়ন দেবেন এবং আবারো নৌকায় জয়ী হয়ে অসমাপ্ত কাজগুলোকে সমাপ্ত করার সুযোগ পাবো।
স্থানীয়রা জানান, এমপি সোহেল হাজারীর পেছনে জনগণ ঘুরে না। বরং এমপিই জনগণের পেছনে ঘুরেন। এটা তার প্রতিশ্রুতি ছিল উপনির্বাচনে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পুনরায় সোহেল হাজারীই যথাযোগ্য। তার কারণ হিসেবে জানা গেছে, সোহেল হাজারী সংসদ সদস্য হওয়ার পর ১৯ মাসেই ১১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদরাসা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নতুন ভবন নির্মাণ করেছেন। ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে মুক্তিযোদ্ধা, ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ফায়ার সার্ভিস, ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণসহ ১০৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জোকারচরের ব্রিজ, ৫৫ কোটি টাকার সল্লা, মরিছা ও কোদালদহ ব্রিজ নির্মাণ করেন তিনি। এ ছাড়া যমুনা নদীর ভাঙন রোধে ৩৩৩ কোটি টাকা ব্যয়ের বাঁধ, বর্গা ব্রিজ, কোকডহরা ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আবার কোনোটির কাজ চলমান ও অনুমোদন রয়েছে। এরমধ্যে এলজিইডির অধীনে উপজেলায় ৮০ শতাংশ কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ কাজসহ এলেঙ্গা-ভুয়াপুর সড়কে ১০টি ব্রিজ অনুমোদন অবস্থায় রয়েছে। মাত্র ১৯ মাসে ১৯শ’ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করে এমপি সোহেল হাজারী এখন সবার নজরে চলে এসেছেন।