নানা অপরাধের আস্তানায় পরিণত হয়েছিল সিলেটের কাস্টঘরের সুইপার কলোনি। চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাদের নিরাপদ আস্তানাও এটি। চুরি, ছিনতাই ও রাহাজানির ‘স্বর্গরাজ্য’ বলে পরিচিত ওই এলাকা। বহুল আলোচিত এই কাস্টঘরের সুইপার কলোনিতে টানা দুই ঘণ্ট অভিযান চালিয়ে মাদক আস্তানা তছনছ করে দিয়েছে। গ্রেপ্তার করেছে সিলেটের শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীসহ ২৯ জনকে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য।
এর আগেও র্যাব সদস্যরা গত এক বছরে কয়েক বার ওই এলাকায়
অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু সিলেটের পরিচিত ওই মাদক আস্তানা পুরোপুরি ধ্বংস না হওয়ার কারণে শনিবার রাতে এক সঙ্গে র্যাবের কয়েকটি টিম অভিযান চালায়।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- সুইপার কলোনির বাসিন্দা ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বাদল দাস, মন্টু খানের ছেলে আজগর খান, বাউনা লালের ছেলে পাপ্পু লাল, বোয়া লালের ছেলে মিঠুন লাল, রামের ছেলে ছোটো লাল, মন্নান খা’র ছেলে জাহাঙ্গীর, বাবুল লালের ছেলে করম লাল, দীপক লালের ছেলে বাবু লাল, শুকরিয়া লালের ছেলে নূপুর লাল, দুলাল লালের ছেলে ভুটকি লাল, বাদল দাসের স্ত্রী স্বপ্না দাস লাবিয়া, অরুন লালের ছেলে মনি লাল, বিক্রম লালের ছেলে জ্যোতি লাল, চন্দন লালের ছেলে শান্ত লাল, চারাদীঘিরপাড়ের ফজলু মিয়ার ছেলে ফয়সল আহমেদ বাবুল, বিশ্বনাথের একলালপুর গ্রামের হারুন অর রশিদ, সুনামগঞ্জের ললিত চন্দ্র দেবনাথের ছেলে রতিন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ, সুনামগঞ্জের সালাম মিয়ার ছেলে তারেক, ময়মনসিংহের আলেক মিয়ার ছেলে ফারুক আহমেদ, দক্ষিণ সুরমার আব্দুল খালিকের ছেলে আলমগীর, দক্ষিণ সুরমার মাহমুদ আলী, কার্ত্তিক চক্রবর্তীর ছেলে ভানু, মাধবপুরের আব্দুল সালামের ছেলে কালাম মিয়া, কিশোরগঞ্জের ঘাটাইল গ্রামের জারুন মিয়া, দক্ষিণ সুরমার মনিরউদ্দিনের ছেলে আব্দুল ওয়াহিদ, নরসিংদীর নুরুল ইসলামের ছেলে রফিক মিয়া, লাখাইয়ের চনু মিয়ার ছেলে ফরহাদ, বানিয়াচংয়ের ইজ্জত আলীর ছেলে লিটন মিয়া, জামালগঞ্জের গোলাম নবীর ছেলে কামরুল ইসলাম কাজল। আটককৃতদের সিলেটের কোতোয়ালি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।