× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আমাদের দেশে সবারই দুর্নীতি আছে

শেষের পাতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন, আমাদের দেশে সবারই দুর্নীতি আছে। নিরপেক্ষ তদন্ত করলে দুর্নীতি দমন কমিশনেরও (দুদক) দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে। গতকাল আয়কর মেলা-২০১৮ উপলক্ষে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির ১৩ উৎস এবং এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ২৩টি সুপারিশ করে একটি প্রতিবেদন গত বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ সচিব বরাবর জমা দিয়েছে দুদক। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এটা (দুদক প্রতিবেদন) এখনও পাইনি। এ ব্যাপারে আমি দুদকের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। কারণ, আপনি যদি একেবারে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করেন তাহলে দুদকের দুর্নীতিও কত ধরনের সেটা বের করতে পারবেন। সবারই দুর্নীতি আছে আমাদের দেশে।
সেটি পরিবর্তনের জন্য আমাদের সামাজিক ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে হবে।

মোশাররফ হোসেন বলেন, দুদক যদি শুধু কর-কাস্টমস বিভাগকেই টার্গেট করে এবং এখানে তাদের অফিস স্থাপনের চেষ্টা করে সেটা তো হবে না। দুদক যা-ই বলুক, যে রিপোর্টই দিক, ইনকাম ট্যাক্স আইন এবং কাস্টমস আইন অনুযায়ী যদি তাদের অ্যাক্টিভিটিস আমাদের এখানে অ্যালাও করে তাহলেই শুধু করতে পারবে, আদারওয়াইজ নয়।
দুর্নীতি আগের চেয়ে কমেছে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়ানো দরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের সৎ কর্মকর্তাদের পুরস্কার এবং অসৎ কর্মকর্তাদের তিরস্কার করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।
দুদকের প্রতিবেদনে আয়কর মেলা আয়োজনে ‘বিলাস-বহুল ব্যয় হয়’ বলে যে পর্যবেক্ষণ দেয়া হয়েছে তার সঙ্গেও দ্বিমত রয়েছে এনবিআর চেয়ারম্যানের।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেন কোনটা বিলাসবহুল? একটা একজন চিন্তা করতে পারে সেটি বিলাসবহুল, সেটি বিলাসবহুল হতে পারে; আবার আরেকজন এটাকে প্রয়োজন মনে করে বলে সেটি বিলাসবহুল নয়। এক সময় কোনো বিলাসবহুল হবে না।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যারা নির্বাচন করবেন তাদের যদি ট্যাক্স ক্লিয়ার করা থাকে বা যাদের সার্টিফিকেট গ্রহণ করা দরকার তারা তো নিজ আগ্রহে করছেন। আমরা সবার পেছনে দৌঁড়াব না। নির্বাচন কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে, এখানে আমরা কিছু করতে যাচ্ছি না। নির্বাচনের কারণে রেভিনিউ কম-বেশি এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ভ্যাট ও শুল্ক খেলাপি ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হলে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কি না- প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এবারের নির্বাচনটা চলে যাক, তারপর নতুন সরকারের প্রথম দিক থেকেই এ ব্যাপারে একটা উদ্যোগ নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর