আওয়ামী লীগের মনোনয়নপত্র নিলেন ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। এর আগে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোয়া নেন মাশরাফি। এদিকে তৃতীয় দিনের মধ্যে দলীয় মনোনয়নপত্র নিয়েছেন নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীরা। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে চলে মনোনয়নপত্র বিতরণ। ৩ দিনে ৩ হাজার ৯শ’ ৮১টি মনোনয়নপত্র বিতরণ হয়েছে। মনোনয়নপত্র বিতরণের তৃতীয় দিন বিক্রয় হয় ৭৮১টি মনোনয়নপত্র। প্রথম ২ দিনে বিক্রয় হয়েছিল ৩ হাজার ২ শ’টি মনোনয়নপত্র।

দুপুরের পর জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি মনোনয়নপত্র নিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান। তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছ থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। নড়াইল-২ আসনে প্রার্থী হতে চান তিনি। এসময় মাশরাফি জানান, নড়াইলকে সুন্দর ও আধুনিক করে সাজাতে চান। এই আসন  থেকে দশম সংসদের সদস্য ছিলেন ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের আগে মাশরাফি গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. দীপু মনি এবং মাশরাফির শুভানুধ্যায়ীরা। মনোনয়ন ফরম কেনার পরে মাশরাফিকে ঘিরে ধরেন তার ভক্তরা। কেউ অটোগ্রাফ আবার কেউ সেলফি তুলতে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নামে। এ সময় অনেককে দেখা যায় খালি গায়ে মাশরাফির নাম লিখে তার পক্ষে ভোট চাইতে। সবমিলিয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে মাশরাফি যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ আনন্দে উদ্বেলিত ছিলেন তার ভক্তরা। মুহুর্মুহ স্লোগানে আওয়ামী রাজনীতিতে তাকে স্বাগত জানান।

এদিকে গতকাল মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, অভিনেত্রী শমী কায়সার, সাবেক ফুটবলার ও বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ প্রমুখ। প্রথম ২ দিনের তুলনায় গতকালের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মিছিল ছিল চোখে পড়ার মতো। মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার। ভোলা-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী আলী আজম মুকুল, মানিকগঞ্জ-১ আসনের এস এম জাহিদ, নরসিংদী-৫ আসনের অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সামছুল হক, ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে আগত গিয়াস উদ্দিন আহমেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের শাহজাহান আলম সাজু সহ অনেকের শোডাউন ছিল চোখে পড়ার মতো। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে আসা বিপুল পরিমাণ নেতাকর্মীর মিছিল আসে একের পর এক। প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন, সঙ্গে অনেকের ছিল ব্যান্ডপার্টি। প্রায় ২ শতাধিক গাড়িবহর নিয়ে হাজী সেলিম ঢাকা-৭ আসনের জন্য মনোনয়নপত্র নেন।

এ আসনের জন্য মনোনয়ন নিয়েছেন তার ছেলেও। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ভিড়ে আশেপাশের সড়কে তীব্র যানজট ছিল দিনভর। এতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। প্রথম ২ দিনের দুর্ভোগের কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।