× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
১২ নভেম্বর ২০১৮, সোমবার

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দেশের সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিলে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ গণতন্ত্র উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের অনেক নেতাকর্মী জীবন দিয়েছেন। গতকাল রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সংসদীয় বোর্ডের সভার শুরুতে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, নির্বাচনে ৩০০ আসনে আওয়ামী  লীগের উপযুক্ত মনোনয়ন প্রত্যাশীকেই প্রার্থিতা দেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করাই সরকারের লক্ষ্য।

জনগণ যাদের ভোট দেবে তারাই বিজয়ী হবে। আমরা সকলে মিলে নির্বাচন করবো।
জনগণ যাকে চাইবে তাকে ভোট দেবে- সেটাই আমরা করবো। সবাই যেহেতু নির্বাচন করবে সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও স্বাগত জানাচ্ছি। ১ থেকে ৭ই নভেম্বর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের প্রসঙ্গ তুলে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচনটা কিভাবে করবো এবং নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে আলোচনা হয়েছে। অনেকে অনেক দাবি-দাওয়া করেছিল। বেশ কিছু আমরা মেনে নিই। তা ছাড়া নির্বাচনটা যেন সকলের জন্য অংশগ্রহণমূলক হতে পারে, সবাই যেন নির্বাচন করার সুযোগ পায় সেদিকে আমরা দৃষ্টি রাখব, সে কথা আমরা দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, আমরা সব সময় এটাই চাই যে, আমরা যে উন্নয়নটা করেছি তার ধারা যেন অব্যাহত থাকে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

এই গতিটা যেন কোনোমতেই থেমে না যায়। বাংলাদেশকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলতে চাই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে, সেভাবে যেন গড়ে তুলতে পারি সেদিকে দৃষ্টি রেখেই আমরা আলাপ-আলোচনা করি। মনোনয়ন ফরম আগ্রহী সবাইকে দেয়া হলেও প্রার্থী নির্ধারণে ‘উপযুক্ত ব্যক্তিকে’ বাছাইয়ের চেষ্টা থাকবে বলে জানান তিনি। এদিকে দলীয় প্রার্থী ঠিক করতে পরে আরো সভা হবে বলে জানান তিনি।

শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে বোর্ডের সদস্য ও দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও রশিদুল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। অসুস্থতার জন্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও ড. আলাউদ্দীন সভায় উপস্থিত হতে পারেননি। এ ছাড়া কাজী জাফরুল্লাহ বিদেশে রয়েছেন। এদিকে উদ্বোধনের পর গতকাল দ্বিতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু এভিনিউ অফিসে যান প্রধানমন্ত্রী। এক ঘণ্টার বেশি সময় তিনি অবস্থান করেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে পুরো এভিনিউ এলাকা ছিল সরগরম। নেতা-কর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে মুখরিত ছিল। মনোনয়ন প্রত্যাশী কয়েক নেতা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে শোডাউন করেন।

এদিকে সকালে যুব লীগের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের নেতাকর্মীরা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি বলেন, গণতন্ত্র জোরদার এবং অব্যাহত উন্নয়নের স্বার্থে তার সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠান নিশ্চিত করা। দেশের উন্নয়ন ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে আগামী নির্বাচন ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। যুবলীগ সভাপতি আলহাজ ওমর ফারুক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ বক্তৃতা করেন। এর আগে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ শাখার নেতৃবৃন্দ ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হয়ে উন্নয়ন বেগবান হবে। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। আমি আশা করবো অন্য রাজনৈতিক দলগুলোও নির্বাচনে আসবে। কারণ, একটা রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না এলে সেই দল শক্তিশালী হয় না। তাই আমরা আশা করি, সব দল আসবে।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরো শক্তিশালী হবে। এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের যে উন্নয়নের ধারাটা সূচিত হয়েছে, আমরা মেগা প্রকল্পগুলো নিয়েছি, দারিদ্র্যবিমোচনের অঙ্গীকার করেছি। শেখ হাসিনা বলেন, দারিদ্র্য ৪০ ভাগ থেকে ২১ ভাগে নামিয়ে এনেছি। আরেকটাবার ক্ষমতায় আসতে পারলে আরো চার থেকে পাঁচ ভাগ কমাতে পারবো। তাহলে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ঘোষণা করতে পারবো। আমরা না থাকলে কেউ করবে না। তিনি বলেন, যুব সমাজকে একটা বার্তা দিতে হবে। আজকে যুব সমাজের জন্য যে কাজগুলো করে দিয়েছি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তাদের জীবনটা যেন সম্মানজনক হয়, উন্নত হয়। যুবসমাজের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি ত্যাগের মনোভাব থাকে তাহলে সফল হতে পারবে।

যারা রাজনীতি করবে তাদেরকে বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও আদর্শ থেকে শিক্ষা নিতে হবে। কি পেলাম, কি পেলাম না সেই হিসাব করবেন না, হিসাব করবেন কতটুকু জনগণকে দিলাম, দিতে পারলাম। শেখ হাসিনা বলেন, লোভকে জয় করা আর ভয়কে জয় করা, এটা যে করতে পারবে সে-ই পারবে দেশ ও জাতির সেবা করতে। আর সম্পদের পাহাড় গড়লে ওই সম্পদই থাকবে। মরতে তো একদিন হবেই। কিন্তু দেশকে কিছু দিয়ে দেয়া যাবে না। ভোগে সার্থকতা নেই, ত্যাগেই সার্থকতা। অনুষ্ঠানের শুরুতে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তার বক্তৃতায় শেখ হাসিনার সরকারের সময় বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচি এবং যুবলীগের পক্ষ থেকে নেয়া নানা কাজের কথা উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, দপ্তর সম্পাদক কাজী আনিসুর রহমান, প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ অন্যরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর