ভালুকা উপজেলায় চাঞ্চল্যকর শিশু ফারজানা (০৫) হত্যা রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামি সফিকুল ইসলামকে (৩০)কে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পূর্ব-শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে গ্রেপ্তারকৃত সাইফুল। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, ভালুকা উপজেলার পাঁচগাঁও গ্রামের ফজলুল হকের কন্যা শিশু ফারজানা (০৫) গত ৯ই নভেম্বর সকালে প্রতিবেশী মন্তুর বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে যায়। বাড়িতে ফিরে না আাসায় তার মা দুপুরে বিয়ে বাড়িতে খুঁজতে যায় সেখানে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরে এলাকায় মাইকিং করে। পরে রাতে ৯টায় দিকে প্রতিবেশী আঃ সামাদের বাড়ির বাঁশ ঝাড়ে রশি দ্বারা ঝুলানো এবং গলায় লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার মুখ ছিল রক্তাক্ত ও এবং চোখ উপড়ে ফেলার উপক্রম অবস্থা।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপারের নির্দেশে ভালুকা থানা ও ডিবি পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে গত ১০ই নভেম্বর যৌথ অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত একই গ্রামের মৃত আবদুল জব্বারের পুত্র সফিকুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সফিকুলকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে পূর্ব-শুক্রতার জের ধরে তাকে হত্যা করেছে। তার স্বীরোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে গলায় পেঁচানো লুঙ্গির বাকি অংশ সাইফুলের বসত ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পিতা ফজলুল হক ভালুকা থানায় ১০ই নভেম্বর ২১ নং নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা রুজু করেছেন। সাংবাদিক সম্মেলনে জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এসএ নেওয়াজী, অতিরিক্তি পুলিশ সুপার (প্রশাসন) হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আল আমিন ও ডিবি’র অফিসার ইনচার্জ শাহ কামাল আকন্দ উপস্থিত ছিলেন।