আশুলিয়ায় পৃথক স্থান থেকে এক পোশাক শ্রমিক ও স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে পোশাক শ্রমিক গৃহবধূর স্বামী পলাতক রয়েছে। গতকাল দুপুরে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এবং গোমাইল বাংলাবাজার এলাকা থেকে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। নিহতরা হলো- বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানা এলাকার ধলু শেখের মেয়ে শ্যামলী খাতুন (২৫) এবং গোমাইল বাংলাবাজার এলাকার বাবুল পাহ্‌লোয়ানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মামুনুর রশিদের  মেয়ে ফুলমতি আক্তার। নিহত শ্যামলী খাতুন স্বামী সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার লুৎফর শিকদারের বাড়িতে ভাড়া থেকে পলমলগ্রুপের নাফা অ্যাপারেলস কারখানায় চাকরি করতেন। তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম বিসমিল্লাহ্‌ মেটালস কারখানায় চাইর করেন। ফুলমতি আক্তার বাবা-মায়ের সঙ্গে গোমাইল বাংলাবাজার এলাকার বাবুল পাহ্‌লোয়ানের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণিতে পড়াশুনো করতো। থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে সোমবার দুপুরে আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া এলাকার লুৎফর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া সিরাজুল ইসলাম নিজ স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে আশুলিয়ার গোমাইল বাংলাবাজার এলাকার বাবুল পাহ্‌লোয়ানের বাড়ির ভাড়াটিয়া মামুনুর রশিদ ও তার স্ত্রী বাড়িতে না থাকায় এ সুযোগে তার দশ বছরের শিশুকন্যাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশটি ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ দু’টি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জাবেদ মাসুদ জানান, নিহত  পোশাক শ্রমিক ও স্কুল ছাত্রীর মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানান তিনি।