হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন লড়াই বেশ জমে উঠেছে। সার্বিক পরিস্থিতির বিবেচনায় শক্তিশালী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হবে মর্মে দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। মহাজোট কেন্দ্রিক রাজনৈতিক সমীকরণে কথিত বিরোধী দল জাপাকে ছাড় দিতে নারাজ আওয়ামী লীগ। গত নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। ওদিকে, সংরক্ষিত নারী সদস্য অ্যাডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় ব্যাপক উন্নয়নের ফলে তার শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থা কেন্দ্রিক পরিচালিত জরিপে এগিয়ে রয়েছেন তিনি। এছাড়াও তৃণমূলের পরিচিত মুখ হবিগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাক্তার মুশফিক হোসেন চৌধুরী জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। ২০১১ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনি।
নির্বাচনী যুদ্ধে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী তিন প্রার্থী শেষ মুহূর্তের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। সবাইকে চমক দেখাতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী। তৃণমূলের ভরসা নিয়ে প্রার্থী হতে মরিয়া তিনি। এবারের নির্বাচনে মহাজোট থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত মর্মে একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের আলোচিত নির্বাচনে অখ্যাত জাপা নেতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আবদুল মুুনিম চৌধুরী বাবু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে বিনা ভোটে এমপি মনোনীত হন। দলের মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মরহুম দেওয়ান ফরিদগাজী তনয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। রাজনৈতিক বৈরী পরিবেশে শক্তিশালী অনেক প্রার্থী নির্বাচন থেকে বিরত থাকেন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিখ্যাত ওই নির্বাচনী এলাকায় দলের একাধিক শক্তিশালী প্রার্থীর সমর্থনে তৃণমূলে সরব নেতাকর্মী। রাজনীতির জটিল সমীকরণে ওই আসনে সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) নির্বাচনী এলাকায় একাধিকবার বিজয়ী হন তৃণমূল আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ দেওয়ান ফরিদ গাজী। নবম জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী ফরিদ গাজী ২০১১ সালে ইন্তেকাল করেন। উপ-নির্বাচনে পরাজিত হন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ডাক্তার মুশফিক হোসেন চৌধুরী। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন প্রয়াত সংসদ দেওয়ান ফরিদ গাজী তনয় শাহ নেওয়াজ মিলাদ গাজী। অবশেষে হাইকমান্ডের নির্দেশনায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিনি। নাটকীয় ভাবে বিনা ভোটে এমপি নির্বাচিত হন জাপার প্রবাসী নেতা আবদুল মুনিম চৌধুরী বাবু।